
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ৪০ গ্যালন (১৫২ কেজি) ভেজাল মধু ও ভেজাল মধু তৈরীর সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। একইসাথে ভেজাল মধু তৈরীর কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শাজাহান গাজী(৪০) নামের এক ব্যক্তিকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত শাজাহান গাজী শ্যামনগরের হরিনগর এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। তবে ভেজাল মধু প্রস্তুতকারী সুন্দরবন মৌমাছি খামার নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর আলম গাজী মুকুল উপস্থিত না থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। যৌথ অভিযানটির নেতৃত্ব দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর।
সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত চিনির সাথে ফিটকিরি, রং, ফ্লেভার, স্যাকারিন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নষ্ট মধু মিশিয়ে অরিজিনাল বলে বাজারে বিক্রয় করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এসময় ৫১টি ড্রামভর্তি নষ্ট মধু, ৫০ কেজি চিনির সিরা, ৭০০ গ্রাম ফিটকিরি, ৫০০ গ্রাম ঘনচিনি এবং প্রস্তুতকৃত ৮ গ্যালন ভেজাল মধু সহ বিভিন্ন রাসায়নিক জব্দ করা হয়েছে’।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, অসাধু চক্রটিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। বেশকিছু জায়গায় এখনও ভেজাল মধু তৈরী করা হচ্ছে। তাদেরকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর জানান, ‘প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া সব মালামাল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার শাজাহান গাজীকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে’।
দন্ডপ্রাপ্ত শাজাহান গাজী বলেন, ‘এই ব্যবসার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত রয়েছি। দিনপ্রতি ৩০০ টাকা মজুরিতে নূর আলম গাজীর ওই কারখানায় ভেজাল মধু তৈরীর কাজ করতাম’।