মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ১৬ থানা এলাকায় ৩২৩ জন সন্ত্রাসীর তথ্য সম্প্রতি হালনাগাদ করেছে। এমন একটি তালিকা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক ও অদৃশ্য কারণে তালিকায় অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসীর নাম বাদ পড়েছে। আবার একই কারণে সন্ত্রাসী না হয়েও কারও কারও নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। তবে সিএমপির দাবি, তারা এ ধরণের তালিকা তৈরি করেননি।
এ ‘আনঅফিসিয়াল’ ফাঁস হওয়া তালিকায় নেই আব্দুল কাদের প্রকাশ মাছ কাদের, দিদারুল আলম মাসুম,নূর মোস্তাফা টিনু, শুনীল দে, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ,এসরারুল হক এসরার, ফয়েজ উল্যাহ বাহাদুর, তানজিরুল হক তানজির, নুরুল আলম প্রকাশ এতিম আলম, যুবলীগের মামুনুর রশীদ মামুন, রাজিব দত্ত রিংকু, বন্দর এলাকার হাশেম প্রকাশ ধামা হাশেম, আরমান হোসেন প্রকাশ যুবলীগ মামুন, পিযুষ লোদ, যুবলীগের কাঞ্চন দত্ত, ডবলমুরিং থানা এলাকার নেছার আহমদ, বেলাল হোসেন প্রকাশ সেলিম্যা, নবী প্রকাশ মাছ নবী, পেট কাটা সোহেল, ফিরোজ শাহ এলাকার আরিফ প্রকাশ হাত কাটা আরিফ, আলি আকবর প্রকাশ ছিরা আকবরসহ অনেকের নাম । বাদ পড়েছেন আরো অনেকেই।
একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অপরাধ বিশ্লেষকদের দাবি, তাহলে ওইসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে গেছে ? নাকি অন্য কিছু। একই ভাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের নাম যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসীর তালিকায় এ নিয়েও নানা সমালোচনা চলছে।
কোতোয়ালি থানা:
সিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানা কোতোয়ালি এলাকায় সন্ত্রাসী রয়েছে ৪৪ জন। তাদের মধ্যে নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম রয়েছে।তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৯টি।অন্যরা হলেন-আলী মর্তুজা খান, অজিত বিশ্বাস, জাহেদ ওরফে পিচ্চি জাহেদ, মুন্না খান, সোহেল আলশ ওরফে রাজ ওরফে সন্ত্রাসী রাজু, রাজীব দত্ত ওরফে রিংকু, জসিম উদ্দিন ওরফে বোমা জসিম শওকত আজম ওরফে খাজা, শফি মোস্তাফা ওরফে মোস্তফা, হাবিব ওরফে রাশেদ, আওলাদ হোসেন, একরামুল হক ওরফে ছোট্টু, হানিফ, আবদুল মমিন ওরফে জনি, আনিসুল হক ওরফে রুবেল ইদু মিয়া ওরফে হাতকাটা ইদু, সোনা মানিক, আবদুল আল ফরহাদ ওরফে জেকি, সাইফুল, মো. হাসান ওরফে হাছান, রুহুল আমিন, হাবিব, ইসহাক, আনোয়ার, এনামুল হক রাজু, কামাল উদ্দিন, জালাল আহম্মদ ওরফে জাইল্যা, জসিম উদ্দিন ওরফে কালু, তুহিন, আমিন উল¬াহ ওরফে আমিন, সেলিম, আবু তাহের ওরফে দিদারুল আলম ওরফে মাসুম, জাহিদ ওরফে কালা জাহিদ, আলী হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, মহিউদ্দিন , আবীর সেন ওরফে আবীর সেনগুপ্ত, অনিক সেন ওরফে সমির সেনগুপ্ত, বশির আহমদ রনি আসিফ ওরফে হানিফ, নাজিম উদ্দিন ওরফে কট নাজিম ও কামরুল হাসান।
চকবাজার:
চকবাজার থানায় ১৪ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। তারা হলেন-এনায়েত উল¬াহ, নাছির উদ্দিন ওরফে বাবুল ওরফে ক্রেকার বাবুল, দেলোয়ার হোসেন বাবলু, ইকবাল মুন্না, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জনি, সালাউদ্দিন লাভু, নবীর হোসেন ওরফে নবী ওরফে বাঁধন ওরফে সুপার মামা, বাদশা ওরফে গুটি ব্যাপারী, রনি, জনি, আয়মন, শহিদউল¬াহ, রোকন উদ্দিন ও নাঈম সরোয়ার।
বাকলিয়া:
বাকলিয়া থানায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে ২৪ জন। এর মধ্যে পেশাদার ছিনতাইকারী ১৮ জন। সন্ত্রাসীরা হলো-মোরশেদ খান, দিদারুল হক কাজেমী ওরফে কিচির বাবুল, শাহ নেওয়াজ ওরফে কিরিচ শাহনেওয়াজ, হানিফুল হক, শরীফুল হক ওরফে নাইক্যা কাজল, নসরুল¬াহ, মুসা খান, সাদ্দাম, রাজু ওরফে বুইস্যা, পেয়ার মোহাম্মদ, মুহিবুল¬াহ, আবদদুর শুক্কুর ওরফে লম্বিনীর পোয়া, হাছান ওরফে সোহেল, ইয়াকুব, শওকত, জনি, জনি-২, আনছার আলী, আরমান, মহরম আলী, কামাল, মনির খান, কালন ও নুরুল ইসলাম।
চান্দগাঁও:
চান্দগাঁও থানার সন্ত্রাসী তালিকায় আছে দুইজন। একজন হলেন-২৩ মামলার আসামি ইসমাঈল হোসেন ওরফে টেম্পু। অন্যজন হলেন শমশেরপাড়ার তৌহিদ ওরফে বডি তৌহিদ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা আছে।
পাঁচলাইশ থানা:
পাঁচলাইশ থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ২১ জন। তারা হলেন প্রজন্ম লীগের ওয়াহিদুল ইসলাম ওরফে অনিক, হামজারবাগ এলাকার প্রজন্ম লীগের রাহাত হোসেন, মোহাম্মদপুরের হকার লীগের আবদুল মান্নান ওরফে মামুন, মুরাদপুর এন মোহাম্মদ কলোনির হকার লীগের মিজান হোসেন ওরফে মিজান, নাজিরপাড়ায় যুবলীগের সাব্বির হোসেন সাকিব, মোহাম্মদপুর মাজার গলির যুবলীগের হায়দার আলী ও পূর্ব নাসিরাবাদ কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার কথিত যুবলীগের মোহসেন চৌধুরী ওরফে সাদ্দাম। এছাড়া আবদুর রহিম, ফয়সাল রহমান লিমন, সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, শাকিল আহমদ ওরফে সাজু, শামশু, দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু, আলমগীর, আসলাম হোসেন, নূর মোহাম্মদ ওরফে লেদু মুন্সি , আমজাদ হোসেন, সোহেল ওরফে বাঁচাইয়া, জালাল ও রাশেদের নাম রয়েছে।
খুলশী:
এ থানায় ১২ জনের নাম রয়েছে। ১৫ মামলা নিয়ে তালিকার ১ নম্বরে রয়েছেন মাসুদ কালাম প্রকাশ কামাল। অন্যরা হলেন-ইয়াছিন, ওয়াকিল হোসেন বগা, আনোয়ার হোসেন মনা, সুমন ওরফে কসাই সুমন, রাসেল ওরফে বগা রাসেল, সুমন ওরফে ডেক্সি সুমন, জাহেদ, সোহাগ, সুমন ওরফে চাকমা সুমন, কাজী সালা উদ্দিন লাভলু, শরীফ ওরফে ডেক্সি শরীফ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা:
সবচেয়ে বেশি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায়। এ এলাকায় ৮৫ জন সন্ত্রাসী আছেন। তালিকার এক নম্বরে আছেন ভারতে পালিয়ে থাকা বহদ্দারহাটের এইট মার্ডারসহ ৯ মামলার আসামি শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খান ওরফে সাজ্জাদ। অন্যরা হলেন- সরোয়ার ওরফে বাবলা, নূরনবী ওরফে ম্যাক্সন, টিটন কুমার চৌধুরী ওরফে ছোটন, নুরুল আলম ওরফে হামকা নুরু, আনছার আলী, দিদারুল আলম, গোলাম রসুল ওরফে ডাকাত সাদ্দাম, আবদুল কুদ্দস ওরফে কানা কুদ্দুস, শফিকুল ইসলাম ওরফে গ্যারেজ শফি, ফিরোজ আহম্মদ, ফোরকান, হাবিবুর রহমান দুলাল, সালা উদ্দিন, পুতুল ওরফে সাগর, পিচ্চি মিলন ওরফে নূর নবী মিলন, আবদুল কাদের মাসুদ, লিয়াকত আলী জসিম, ফরিদ, আবদুল কাদের, আবদুল মালেক সোহেল, লুৎফর, ছাবের আহম্দ ওরফে টারজেন, আফছার, আবদুল রশিদ ওরফে টিটু, জাহাঙ্গীর, জয়নাল আবেদীন, হাবিবুর রহমান ওরফে হামকা হাবিব, মামুন, ইকবাল, ইউসুফ ওরফে ফয়সাল ওরফে সানি, জনি, দীপংকার, আলমগীর হোসেন ওরফে বাবু, কালাম, পারভেজ, রাসেল, মোজাম্মেল, রফিক, নূর উদ্দিন, আবুল হোসেন, দেলোয়ার, কাউছার, আক্তার হোসেন, মিজান, রনি, ইয়াছিন, মিজান, বাবলু, হাসান, আরিফ ওরফে কালো মানিক, এনাম, রাসেল, রুবেল, সোহেল, জসিম উদ্দিন রানা, আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর, বাবলু, আজিজ মোহাম্মদ ওরফে আজিজ, নোমান ওরফে গিট্টু নোমান, আবদুল কাদের সুজন, রাজন, আবদুল মান্নান, এনাম ওরফে চশমা এনাম, মিটু, বাদশা ওরফে ডাইল বাদশা, পারভেজ, সুইডেন সোহেল ওরফে শওকত সোহেল, সুজন, আবদুর রহিম ইয়াবা রহিম, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোর্স আনোয়ার, অন্তর শীল ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম জোবায়ের হোসেন, সাইফুল ইসলাম ওরফে ভাঙ্গা সাইফুল, উজ্জ্বল, বাহার ওরফে মাটি বাহার, সামশুদ্দিন বাদল ওরফে বহিরাগত বাদল, নবী আলম, শামসুল আলম ওরফে সত্তার, মোজাম্মেল হোসেন মিন্টু, গিয়াস উদ্দিন, মোরশেদ, সোহেল রানা।
ডবলমুরিং থানা:
এ থানায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ১৮ জন। এর মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের। একজন ছাত্রলীগের। অবশিষ্ট ১২ জনের দলীয় পরিচয় নেই। তালিকার ২ নম্বরে আছেন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ৯ মামলার আসামি সুমন ওরফে দাতলা সুমন। অন্যরা হলেন-গোলজার আলম ওরফে গোলজার হোসেন, ইমতিয়াজ খান, জালাল উদ্দিন ওরফে রানা, জসিম, ছগির হোসেন ওরফে ছগির, পারভেজ, মোস্তাফা কামাল টিপু, মোকসেদ আলম, সোহাগ বাদশা, বাবুল ওরফে ভাঙ্গা বাবুল, খলিলুর রহমান বাপ্পী, ফরিদ, আলমগীর চৌধুরী, রাশেদ আহম্মদ, বজল নিজাম খান ও রুবেল ওরফে ফারজানার জামাই।
হালিশহর থানা:
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ৩৪ জন। তাদের কারও দলীয় পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারা হলেন-মাসুদ রায়হান ওরফে মোটা মাসুদ, পিচ্ছি মাসুদ, শাহাদাত হোসেন ওরফে চক্কু, দিদারুল আলম নিপু, মানিক, গোলাম শরীফ ওরফে লালু, আবদুল মান্নান, শফিকুল মাওলা শোভন, শাহীন আহম্মদ কবির ওরফে কানা কবির, ফরিদ, হাকিম, মীর কাশেম ওরফে কাইস্যা, এসএম সাইফুদ্দিন, কামরুজ্জামান ওরফে রাজীব, ইলিয়াস, মাবুদ জুনিয়র, দেলোয়ার, আসলাম, আজিজুর রহমান বাবুল ওরফে জীন বাবুল, সরোয়ার হোসেন রিফাত, সোহেল রানা, কোরবান আলী কাংকার, দুলু ওরফে মার্ডার দুলু, নূর উদ্দিন মিল্টন, আবদুল কাদের ওরফে চেইন কাদের, ফয়সাল মাহমুদ, মো. খোকন, ফয়সাল, খোকন, তরিকুল ইসলাম জীবন, আরমান, এসকান্দর, সাইফুল ওরফে কালা সাইফুল।
পাহাড়তলী থানা:
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর সংখ্যা ১২ জন। তারা হলেন-রহমত উল¬াহ ডন, সাজ্জাত হোসেন ওরফে সুমন, সোহেল, কুইন্টাল রিভারো, ইয়াছিন, কুতুব উদ্দিন, গোলাম সরোয়ার, আশরাফ, শাহজাহান, এরশাদ, কামরুল হাসান রানা ওরফে কুত্তা রানা, মাসুম।
আকবর শাহ:
এ থানা এলাকায় সন্ত্রাসী সাতজন। ১ নম্বরে রয়েছে ফিরোজশাহ কলোনির ধনু মিয়া ভান্ডারির ছেলে সন্ত্রাসী নুরে আলম ওরফে নুরু। তার বিরুদ্ধে খুলশী ও আকবর শাহ থানায় ৩১টি মামলা আছে। অন্যরা হলেন-সালাহউদ্দিন সালু, জানে আলম, কাইছার ওরফে পিচ্ছি কাইছার, রাজন ওরফে পুলিশ রাজন, সোহেল, এরশাদ হোসেন ওরফে এরশাদ।
ইপিজেড থানা:
এ এলাকায় সন্ত্রাসী ২৫ জন। এর মধ্যে পাঁচজন বিএনপির। সন্ত্রাসীরা হলেন-সাইফুদ্দিন ওরফে ভেন্ডাইয়া, রতন ওরফে আমজাদ হোসেন, বাল¬া, সালাউদ্দিন, আমজাদ ওরফে আমজাইদ্যা চোরা, আনিছ, আলমগীর, আল আমিন শরীফ, আইয়ুব ওরফে রোহিঙ্গা আইয়ুব, হাসান মুরাদ, মুরাদ, সাজ্জাদ, রিয়াজ উদ্দিন, বাদশা, আবদুর রহিম, শাহেদ বশর, মুজিবুর ওরফে মুজব, শাহজাহান, জাহেদ, জাহাঙ্গীর ওরফে কাচারী জাহাঙ্গীর, শাহেদ আলী, বেচা বেচাইয়া, ছাগের ওরফে ছাগির।
বন্দর থানা:
এ থানায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন-মুরাদ, ইদ্রিছ ও সাব্বির হোসেন।
পতেঙ্গা থানা:
এ থানায় সন্ত্রাসী ১১ জন। তারা হলেন-আকাম উদ্দিন ওরফে হাকিম ওরফে আকাইম্যা, আরব আলী, আলমগীর হোসেন ওরফে খোকন, আজম খান, নূর মোহাম্মদ ওরফে দিল মোহাম্মদ, বাবুল মজুমদার ওরফে সুমন মজুমদার, জোবায়ের বশর, আল আমিন ওরফে ইকবাল, রেজাউল হোসেন ওরফে ইকবাল, রেজাউল হোসেন রাজু ওরফে লেংড়া রাজু।
কর্ণফুলী থানা:
এ থানায় সন্ত্রাসী ১১ জন। তারা হলেন-আক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, নাছির. নাজির আহাম্মদ, রওশন আলী ওরফে নূর হোসেন, সামশছুল আলম ওরফে সামছু, আলী আকবর, ইসমাইল, হারুন ও আক্কাছ।
নিচে সন্ত্রাসীদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
ফয়েজ উল্যাহ বাহাদুর: একসময় বিএনপির রাজনীতি করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপরে লেগেছিলেন সৌভাগ্যক্রমে তিনি এখন বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক । তার বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, ডাকাতি ও বিস্ফোরকসহ বহু মামলা। এর মধ্যে বাকলিয়া থানার মামলা নং-১৫(১)২০০৩ ধারা ৩০২/৩৪ দঃবি,১২(৩)২০০৪ ধারা ৩৯৫/৩৯৭, পটিয়া থানার মামলা নং ৪(৬)২০০৫ ধারা ৩০২/২০১, কোতোয়ালী থানার মামলা নং৪৩(৩)২০০৫ ধারা ৩৯৫/৩৯৭, সাবেক পাঁচলাইশ থানার মামলা নং ৩৯(৪)২০০০ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা,পাহাড়তলী থানার মামলা নং ২২(১০)২০০৪ ধারা ৩৯৫/৩৯৭,চান্দগাঁও থানার মামলা নং ৭(৩)২০০৫ ধারা ৩৯৫/৩৯৭, ৭(১)২০০০ ধারা ৩৪৩/৩৪৮/৪২৭/৩২৩/৩৮০//৩৪ ও কুমিল্লা আমতলী থানার মামলা নং ২৭(৮)২০০৪ ধারা ৩০২/৩৪ উল্লেখযোগ্য।
তানজিরুল হক তানজির: সে বাকলিয়া থানার হাজী আমিনুর রহমান রোড এলাকার কমিশনার মাহমুদুল হকের বাড়ির এমদাদুল হকের পুত্র। বাকলিয়া থানার মামলা নং ১৫(১)২০০৩ ধারা ৩০২/৩৪৩৮(৪)২০১৫ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৪২৭/৫০৬, কোতোয়ালী থানার মামলা নং ১৯(১২)২০১৬ তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা, বাকলিয়া থানার মামলা নং ৩৩(৩)২০১৬ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩২৪/৩৭৯/৫০৬,বাকলিয়া থানার মামলা নং ৩১(১)২০১৯ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩২৪/৩৭৯/৫০৬,বাকলিয়া থানার তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা নং ২৮(৩)২০২০ এছাড়াও বিভিন্ন থানায় ৫ টি সাধারণ ডায়েরী রয়েছে।
নুর মোস্তফা টিনু: নগর যুবলীগের কোনো পদে নেই তিনি। কিন্তু দাপিয়ে বেড়ান যুবলীগ নেতা পরিচয়ে। তাঁর রয়েছে নিজস্ব ছিনতাইকারীর দল ও কিশোর গ্যাং। চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া ও কালুরঘাট এলাকায় তাঁর আধিপত্য। তিনি নুর মোস্তফা ওরফে টিনু। একটি পিস্তল ও শটগান এবং ৭২টি গুলিসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়ে ফিরেছে আগের রূপে। র্যাবের দাবি, তাঁর ‘নিয়ন্ত্রণাধীন’ এলাকার ফুটপাত, কোচিং সেন্টার, শপিং মল ও টমটম (গাড়ি) থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে মাসে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অস্ত্র ব্যবসা ও কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছেন নুর মোস্তফা। কাপাসগোলা এলাকার মৃত নুরনবীর ছেলে নুর মোস্তফার বিরুদ্ধে নগরের কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় জমি দখল, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তবে কোনোটির সাজা হয়নি।
এসরারুল হক এসরাল: এসরারুল হক এসরালের বাবার নাম মোহাম্মদ ইউসুফ। তার বর্তমান ঠিকানা নগরীর চন্দাগাঁও থানা এলাকায়। বাড়ি নম্বর এক্স ১৪/২, রোড নম্বর-১, ব্লক-এ। ১৯৯৭ সালে চাঁদাবাজি ও অধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে তার এক ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্থান হয় এসরালের। ২০০৪ সালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় তার আরও এক ভাই। ১৯৯৮ সালে এসরাল একটি ডাকাতির ঘটনায় দুটি অস্ত্র, এগারো রাউন্ড গুলি ও লুট করা স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রথম গ্রেফতার হয়। চান্দগাঁও থানায় মামলা [০১(৪)৯৮] হয়। জামিনে বেরিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের সময় চন্দনাইশ থানায় অস্ত্রসহ ফের গ্রেফতার হয় এসরাল।
২০০১ সালে বহদ্দারহাট পেপসি কোম্পানির ম্যানেজার অপহরণের মূল হোতা হিসেবেই তার নাম উঠে আসে। সে সময় আরও এক ঘটনায় আলোচিত হয়ে ওঠে সে। পাঁচলাইশ থানা এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা ও তিনটি অস্ত্র লুটের ঘটনায় প্রধান আসামি ছিল সে। ২০০৩ সালে গোলপাহাড় মোড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর একে-২২ রাইফেল অস্ত্র উদ্ধার মামলার প্রধান আসামিও এ এসরাল। [কোতোয়ালি থানা, ৪৪(৪)০৩ ] ২০০৪ সালে খুলশী ইস্পাহানি স্কুলের সামনে থেকে এসরালকে দুটি অস্ত্রসহ ফের গ্রেফতার করে র্যাব-৭। এ মামলায় {১৪(১০)০৪}১৭ বছর সাজাও হয়। ২০০৬ সালে মুরাদপুরে ব্যবসায়ী আজাদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর এ মামলায় দ্বিতীয় দফায় কারাগারে যায় এসরার। দেড় বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর জামিনে বের হয়ে আসে। দীর্ঘ এগারো বছর আইনশৃঙখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল সে। এ সুযোগে আবারও গড়ে তোলে অপরাধ সাম্রাজ্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, আনুমানিক দুই শতাধিক চিহ্নিত অপরাধী এসরালের নেতৃত্বে নগরীতে সক্রিয় রয়েছে। তাদের দিয়েই সব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তবে বর্তমানে তিনি চসিকের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।