মো: রাকিব, চট্টগ্রাম:
বর্ষ পঞ্জিকায় শীত এখনো আসেনি ; তবে প্রকৃতিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীতের উপস্থিতি। হেমন্তকাল প্রায় শেষ। ভোরের ঘাসে মিশে থাকে শিশির। গত দুই দিনে রাতের দিকে পড়ছে প্রবল শীত। এ আগমনিতে চট্টগ্রামে কাপড়ের দোকানিরা বাহারি রঙ ও সাজের গরম পোশাকের পশরা সাজিয়ে বসেছে। তাই নগরীর বিপনি-বিতান ও শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে দোকানেও শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের শীতের পোশাক।
শীত ঢুকে পড়ায় নাকাল অবস্থায় পড়েছেন নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অন্যদিকে পৌষের এই কনকনে শীত মোকাবেলায় নগরবাসীরা একসাথে ছুটছেন গরম পোশাকের খোঁজে। এই সুযোগে বিক্রেতারাও বাড়িয়ে দিয়েছেন দাম। চট্টগ্রাম নগরীর জহুর হকার্স, রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন শীতের পোশাকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। তবে ছোট বাচ্চাদের শীতের পোশাকের দাম অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
জহুর হকার মার্কেটে ঢুকতে চোখে পড়ে, রাস্তার দু’ধারে দোকানিরা ফুটপাতে সাজিয়ে রেখেছে শীতের রঙ-বেরঙের বাহারি কাপড়। ক্রেতাদেরও ভিড় লক্ষণীয়। কেউ কেউ শীত আসার আগেই গরম পোশাক কিনতে এসেছে একটু কম দামে পাবে সেই আশায়। আর দোকানিরাও নিয়ে বসেছেন, গাইটের বাহারি পোশাক। গাইটে আসা পোশাকগুলোর কিছু কিছু পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি। আর কিছু কিছু পোশাক অধৌত এবং ছেঁড়া। পোশাকের ডিজাইন (নকশা) ও পরিচ্ছন্নতা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে কাপড়ের দাম। ক্রেতাদের ভিড় থেকে কেউ কেউ কিনছেন তাদের রুচি ও সামর্থ্য অনুযায়ী কাপড়। আবার কেউ কেউ শুধু কাপড় দেখেই ফিরছেন খালি হাতে।
ডিজাইনের শাল। তবে এসব দোকানে হরেক রকমের শীতবস্ত্র বিক্রির জন্য মজুদ করা হলেও ক্রেতার ভীড় জমে উঠেনি এখনো। এছাড়া এসব পাইকারি দোকান থেকে পাইকারি মূল্যে কিনে নিয়ে গিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হয় অনেক মার্কেটে। এসব খুচরা বাজারের বিক্রেতারা নিজেদের দোকানে এখনো পুরোদমে শীতের কাপড় তোলার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে জানালেন পাইকারি বিক্রেতারা।