চট্টগ্রাম ব্যুরো: সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় “বর্ষা মঙ্গল অনুষ্ঠান” আষাঢ়ের প্রথম দিবসে শেখ মুজিব রোডস্থ সঙ্গীত চর্চা কেন্দ্র মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। “বরিষ ধারা মাঝে শান্তির বারি”- দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির ভাষন রাখেন কথা সাহিত্যিক, চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। সঙ্গীত শিল্পি ও সন্দীপনার কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা যদু গোপাল বৈষ্ণবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- চবি অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, যুব নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, সংগঠক উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রাজু, শিল্পি এম এ হাশেম, সংবাদকর্মী মুকুল শিকদার, শিক্ষাবিদ বাবুল কান্তি দাশ, কবিয়াল আবদুল লতিফ, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য্য, কবিয়াল সন্তোস কুমার দে, প্রণব রাজ বড়ুয়া, আইটি এক্সপার্ট মো: রাকিব, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু, সাংবাদিক আনিস খোকন, সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, মো: দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চবি গবেষক, ভাস্কর ডিকে দাশ মামুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- বাচিক শিল্পি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও নাট্যকর্মী নন্দীনি দেব।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বর্ষা আসে ধরনীর তাপিত হৃদয়ে প্রাণ সঞ্চারের জন্য। নতুন প্রাণের ছোঁয়া পেয়ে প্রকৃতির সাজে নতুন সম্ভারে। সারাটা দেশ জুড়ে থৈ থৈ জল বাঙালীর প্রাণে আনে নতুন ভাবনা, নবনব কলরোল। পল্লী বাংলায় বর্ষার যে রূপ এমনটি বিশে^ কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। বর্ষা আসে কৃষকের মনে নতুন আবাদের সংকল্প জাগাতে। ফসলের মাঠে, বীজ তলায় বীজ বোনার, চারা রোপনের যে হিড়িক পড়ে তা আমাদের প্রেরনায় প্রকৃতির আর্শিবাদকে সাথে করে নিয়ে আসে।
অনুষ্ঠান জুড়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও পুঁথি পাঠে অংশ নেন- শিল্পি মুসলিম আলী জনি, জাহানা পারুল, কবিয়াল হরিপদ দেয়ারী, এমরান হোসেন মিঠু, উজ্জ্বল সিংহ, বাসুদেব রুদ্র, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, শিল্পী জ্যোতি শর্মা, স্বর্ণময়ী শিকদার, মৈত্রী আশ্চার্য, শিল্পি শর্মা প্রমুখ। সঙ্গীতানুষ্ঠানের পর লোকায়েত কবির গানে অংশ নেন কবিয়াল আবদুল লতিফ ও কবিয়াল সন্তোস কুমার দে।