জাতীয় ডেস্ক:
রাজশাহীতে রেলের কোয়ার্টার বেশিরভাগই পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ। গণপূর্ত অধিদফতরের ভবনগুলো ভাঙাচোরা আর বেশি ভাড়ার কারণে বছরের পর বছর খালি পড়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসাগুলো। দেখভাল না থাকায় নষ্ট ও বেহাত হচ্ছে রাজশাহীর এসব সরকারি কোয়ার্টার।
নগরীর রেলওয়ে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৪ তলা ভবন বিশিষ্ট ৩টি কোয়ার্টার। জরাজীর্ণ ভবনের ১টি পরিত্যক্ত, অন্য দুটিতে থাকেন কয়েকটি পরিবার। ওই ভবনে বরাদ্দ নিয়ে নিজেরা না থেকে বহিরাগতদের ভাড়া দিয়েছেন রেলের অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীতে কম ভাড়ায় মানসম্মত বাসা পাওয়ায় রেলের কোয়ার্টারে থাকেন না কর্মকর্তারা। রেল স্টেশনসহ কলোনির জরাজীর্ণ আবাসনগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বাস করেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, তাদের বেতন অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ভাড়া কাটলেও কোয়ার্টারের কক্ষগুলো বসবাসের অযোগ্য।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরাতন ভবন সংস্কার কিংবা নতুন করে আবাসন গড়ার পরিকল্পনা নেই তাদের।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, সরকারি কর্মচারীদের আবাসনে নগরীর মহিষবাথান ও হেলেনাবাদে ২২টি বহুতল ভবনের ২টি পরিত্যক্ত।
এখানকার বাসিন্দারা বলছেন, মহিষবাথান ও হেলেনাবাদে বেশিরভাগই ভবন বসবাসের অযোগ্য ও ভাঙাচোরা।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানিয়েছে, আবাসন সমস্যা নিরসনে ১০ তলা নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম জানান, বাইরের তুলনায় ক্যাম্পাসের বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত অর্ধশতাধিক ইউনিট খালি পড়ে রয়েছে। বছরের পর বছর পড়ে থাকায় ভবনগুলোর অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে।
রাজশাহীতে রেলওয়ের ৬৪টি কোয়ার্টারে ৩৪২টি, সরকারি কর্মচারীদের ২২টি কোয়ার্টারে ২১২টি, বিচারকদের ৫টি কোয়ার্টারে ২০টি ইউনিট রয়েছে।