
আশাশুনি প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের কারণে লকডউন চলাকালে আশাশুনিতে লকডাউনকে পুজি করে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বেদম মারপিটে ২ জন আহত হয়েছে। উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে। গুরুতর আহত সঞ্জয় মন্ডলকে (৩৫) সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার সকল ইউনিয়নে কমবেশী লকডাউন চলছে। লকডাউনের কারণে মানুষের বাইরে আগমন যেমন কম রয়েছে, তেমনি প্রশাসনের আগমনের খবরে মানুষকে অন্তরীন হতে দেখা যায়। এলাকাবাসী জানান, এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে ৫টি মটর সাইকেলে কিছু লোক হাড়িভাঙ্গা চৌরাস্তা দিয়ে পুইজালা বাজারের দিকে ঢোকে। বাজার হয়ে গাড়ী বহর ওয়াপদার বাঁধের উপর উঠে মাছের হ্যাচারীর কাছে পৌছে স্থানীয় পরিতোষ মন্ডলের পুত্র সঞ্জয়কে পেয়ে লাঠি বা রড দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার পা ভেঙ্গে অপ্সান হয়ে পড়ে গেলে তারা তাকে ফেলে রেখে সামনের দিকে গিয়ে খোকন মাঝির পুত্র সুমনকে (১০ম শ্রেণির ছাত্র) পিটায়। এরপর তারা ফ্লিম্মি স্টাইলে বৌদির খেয়াঘাট থেকে নিচে নেমে পুইজালা স্কুল হয়ে মহিষকুড়ের দিকে চলে যায়। গুরুতর আহত সঞ্জয়কে রাতেই এ্যাম্বুলেন্সযোগে থানা পুলিশকে দেখিয়ে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত সঞ্জয়ের অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। রক্ত সংকটে আছে। শীঘ্রই তাকে অপারেশন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে। মটর সাইকেল বহরে একজন গ্রাম পুলিশ ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে। তাদের প্রশ্ন, এহেন মটর সাইকেল বহর নিয়ে রাতের বেলায় এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করা এবং মারপিট করে জখম করার হেতু কি থাকতে পারে? তারা প্রশাসনের দ্রুত পদকেষপ গ্রহন ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক দিপংকর কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত সঞ্জয়কে অপারেশন করাতে হবে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।