আব্দুর রহমান: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় ভোমরা স্থলবন্দরে গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টারে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল উদ্বোধন করা হয়। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার ও ভারতের কলকাতা গ্রিনলাইন পরিবহনের সত্ত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান, গ্রিনলাইন পরিবহনের জিএম আব্দুস সাত্তার, জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, গ্রিনলাইন পরিবহন বেনাপোল শাখার ম্যানেজার রবিন বাবু, যশোর শাখার ম্যানেজার সুব্রত ঘোষ প্রমুখ। ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা হয়ে কলকাতার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এদিন অল্প সংখ্যক পাসপোর্ট যাত্রী বাসে চড়ে ভারতে গেছেন। একমাস পর থেকে পুরোদমে এই বাস চলবে।
গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার জানান, কম খরচে ও সহজেই গ্রিনলাইন পরিবহনের মাধ্যমে ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারবেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ভাড়া ১৪ শ’ টাকা, আর কলকাতা থেকে ঢাকা ভাড়া ধরা হয়েছে ১১ শ’ রুপি। তবে সাতক্ষীরা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হবে ৫০০ টাকা। গত এক বছর আগে এই বিষয়টির উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। গ্রিনলাইন পরিবহন ভারতের সত্ত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার জানান, আপাতত এপার থেকে ওইপারে যাত্রী নিয়ে বাস বদল করে কলকাতায় যেতে পারবেন যাত্রীরা। মাসখানেক পর থেকে কোন পরিবর্তন ছাড়াই একটানা কলকাতায় বাস যাবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর হতে ভারতের কোলকাতার দূরুত্ব প্রায় ৭৫ কি.মি.। এটাই বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থলবন্দর। তাছাড়া ভোমরা ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের ভিড়ও কম। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে সবচেয়ে কম সময়ে কলকাতায় যাতায়াত করা যাবে এই পথ ব্যবহার করে। এতে করে যাত্রীদের সময় কম লাগবে।
ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু, যাত্রীদের উচ্ছ্বাস
পূর্ববর্তী পোস্ট