
জাতীয় ডেস্ক:
‘বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর। প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা সম্ভাবনা চিহ্নিত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে তথ্য প্রচারের মাধ্যমে উৎপাদন-বিপনন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় আগ্রহী হতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের। একই সাথে প্রাণিসম্পদ দপ্তরকেও তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে।’
রবিবার (৫ মার্চ) খুলনায় দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত, সমস্যা ও সম্ভাবনা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পরিপ্রেক্ষিত’ আয়োজিত কর্মশালায় খুলনাসহ ১১টি জেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মী ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএলএস পরিচালক (বাজেট) ড. মো. আবু সুফিয়ান, ডিএলএস পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেকুজ্জামান।
কর্মশালায় ‘এলডিডিপি এবং বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত’ ‘প্রাণিসম্পদ খাত, সমস্যা ও সম্ভাবনা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ ‘এলডিডিপি প্রকল্প এবং গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়সমূহ’শীর্ষক গবেষনা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, পরিপ্রেক্ষিত এর নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সংবাদে উঠে আসছে না, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের মধ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দিতেও আড়ষ্ঠতা বা ভীতি কাজ করে। ফলে পারস্পরিক আস্থার অভাবে তথ্যে ঘাটতি থেকে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য প্রাণিসম্পদ ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় গণমাধ্যম কর্মীদের আগ্রহী হতে হবে।
এলডিডিপি প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী খাতে উন্নয়নে প্রকল্পের আওতায় খামারীদের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিপণন ব্যবস্থায় ‘মার্কেট লিংকেজ’ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে সংবাদকর্মীদের ইতিবাচক সহায়তা ও প্রচারনার সুযোগ রয়েছে।