
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগ আয়োজিত মানববন্ধনে এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় বাঁশখালীর আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারিদের হামলায় সাত সাংবাদিক সহ ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা শাখা যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানবন্ধনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া শুরু করলে এমপি’র অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উপস্থিত লোকজনের। এ সময় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত সচিব ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম ও বাঁশখালীর পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে মানববন্ধনের আশ-পাশে দেখা গেছে বলে উপস্থিত লোকজন জানান।
অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালীতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দিয়ে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সকাল ১১টার দিকে মানববন্ধন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু।
মানববন্ধন শুরুর আনুমানিক পৌনে এক ঘণ্টা পর ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে মানববন্ধনে হামলা চালায়। হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, আবুল হাশেম, আবু তাহের, আজিমুল ইসলাম ভেদু ও আব্দুর রাজ্জাক, বাঁশখালীর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর ও জয়নাল আবেদীন, সাহেদ মুরাদ সাকু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরা পারসন মো. নবাব, দৈনিক নয়াদিগন্ত ফটো সাংবাদিক আকতার হোসেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, সন্তান কমান্ডের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকুসহ কয়েকজন।
হামলার বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে হামলার খবর পাওয়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে হামলার বিষয়ে এখনেও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। হামলার বিষয়ে বাঁশখালীর পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা হামলা করার জন্য মানববন্ধনে যায়নি, আমরা আয়োজকদের সাথে কথা বলে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেয়ার জন্য গিয়ে ছিলাম, কিছু উৎশৃঙ্খল কিছু যুবক আমাদেরকে অপমান ও গায়ে হাত তুলেছে বলে তিনি দাবি করেন।