
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আশাশুনিতে মৎস্য ঘের দখল নিয়ে মারপিটে ৮/৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় ইজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া গ্রামের ইউসুফ সরদার এবং অদুদ সরদার ও আমিনুর সরদার সম্মিলিতভাবে গজুয়াকাটি মৌজার আনুমানিক ৩ বিঘা জমির খালে মৎস্য ঘের করে আসছিল। নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় চলতি বছরে উক্ত ঘেরে তারা মাছ ছাড়েনি। ইউসুফ সরদার ও তার নাতি ফজলুর রহমান জানায়, ঘেরের মধ্যে তাদের রেকর্ডীয় ৫ শতক জমি রয়েছে (যার দাগ নং ৭১৪)।
মঙ্গলবার সকালে আনার সরদারের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪২) উক্ত জায়গায় নেটপাটা দিয়ে ঘেরার সময় প্রতিপক্ষের রাউতাড়া গ্রামের অদুদ সরদার, আমিনুর সরদার, মুর্শিদ মোড়ল, মজিদ সরদার, আল-অমিন, কহিনুর সহ অন্যান্যরা গিয়ে উক্ত কাজে বাঁধা দেয়। কথাকাটকাটির একপর্যায়ে উক্ত ব্যক্তিরা ফরিদা বেগমকে মারপিট করতে থাকে। সে সময় সেখানে থাকা ফরিদার কন্যা তাকিয়া তার মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তারা তাকেও মারপিট করে।
এক পর্যায়ে মা-মেয়ের ডাক চিৎকারে ফরিদার পুত্র ফজলু, বোন রাশিদা, হাওয়া, চাচাতো বোন সালমা, মা নুরজাহান প্রমুখ সেখানে গেলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। মারপিটে গুরুতর আহত ফরিদা (৪২), রাশিদা (৪০), হাওয়া (৩০), সালমা (২৪) ও তাকিয়া (১২) কে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, সেখানে তাদের মধ্যে পারস্পারিক বাদানুবাদ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৮/৯ জন কমবেশি আহত হয়। প্রতিপক্ষের আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফরিদার পুত্র ফজলুর রহমান বাদী হয়ে থানায় ইজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এ ব্যাপারে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম বলেন, মৎস্য ঘের নিয়ে গোলযোগে উভয়পক্ষের ৮/৯ জন আহত হয়েছে এবং তাদেরকে আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি এলাকায় না থাকায় তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা বা সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। এলাকায় ফিরছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।