
কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম: (গত পর্বের পর) অবাক কান্ড! যেখানে দেশকে মাদক থেকে রক্ষা এবং অপরাধ ও অপরাধী মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে প্রাণে কাজ করাসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে দেশকে মাদকমুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল সেখানে ২০১৪ সাল হতে সেইসময় কৌশলে চট্টগ্রামে ইয়াবার সম্রাট পতেঙ্গা আবছার তার আসল পরিচয় গোপন রেখে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছবি তুলে রাতারাতি সাধু সেজে আওয়ামীলীগ নেতা বনে গিয়ে পুলিশ প্রশাসন তথা সংবাদকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে তাঁর আসল মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানা যায়।
আবছার একজন প্রশাসনের তালিকা ভুক্ত ইয়াবাসহ বহুবিধ মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণে দু’টি মামলাসহ নয়টি মাদকের মামলা রয়েছে। সে একজন অতিসাধারণ নৌকার মাঝি হতে রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। পতেঙ্গাতে তাঁর রয়েছে একটি ৪ তলা বিশিষ্ট একটি রাজপ্রসাদ মত বাড়ী। যে বাড়ীতে তৈরী হয় ইয়াবা ও বিদেশি নকল হুইস্কি, তাঁর নিজস্ব ছয়টি সাম্পান (নৌকা) আছে যেগুলো দিয়ে বিদেশি জাহাজ দিয়ে আনিত চোরাই মালামাল ও হুইস্কি, বিয়ার সহ বিভিন্ন আইটেমের মদ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচার করে থাকে, তাঁর কিন্তু মূল ব্যবসা হচ্ছে ইয়াবা, আগে মায়ানমার হতে ইয়াবার চালান আনলেও এখন কিন্তু নিজেই ইয়াবা তৈরি করে গোপনে বিক্রি করে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
আবছারকে প্রশাসন অন্তত: চারবার গ্রেফতার করেছে, কিন্তু সেই তাঁর টাকার জোরে ছাড়া পেয়ে চলে এসে পুনরায় আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে। তাঁর অপরাধ ও অপরাধী অপকর্মেকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে সোহাগ আরেফিন নামীয় এক কথিত সাংবাদিক, যার মাধ্যমে সেই মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে মন্ত্রীর সাথে ছবি তুলে ছবি প্রতারণা করেছেন।
তবে গোপন সূত্রে জানাযায় শুধু মন্ত্রীর সাথে একটি ছবি তোলার জন্য আবছার দশ লক্ষ টাকা সোহাগ আরেফিনকে দিয়েছেন, প্রশাসন সোহাগ আরেফিনকে গ্রেফতার করলে আবসারে ছবি তোলার রহিস্য উদঘাটিত হবে। এ ছাড়া আবছার আওয়ামী লীগ হতে কাউন্সিলর প্রার্থীর টিকেটের জন্য পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ করেন কিন্তু সেই আওয়ামী লীগ হতে টিকেট পাইনি, বিগত সময় জনৈক গোলাম মাওলা নকশিবন্দির মাধ্যমে আনুমানিক চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ করে আওয়ামীলীগ এর উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক পদগ্রহন করলেও তার ইয়াবা ব্যবসায়ী পরিচয় প্রকাশ হওয়ার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। আবসার জীবনে কোনদিন আওয়ামী লীগ করেনি, সে টাকার জোরে রাতারাতি আওয়ামী লীগ নেতা বনেগিয়ে তাঁর মাদক ব্যবসাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।—–চলবে