
ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ বায়েজিদ থানা এলাকায় আলফিন নগরস্থ আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা চলাকালিন ও ভূমি আপিল বোর্ডে অভিযোগের বিচারাধীন জালালাবাদ মৌজার, ফারুকুল ইসলাম মিয়ার মালিকানাধিন, জে.এল নং- ১, আর. এস খতিয়ান নং- ৭১৭/৮১৯ বি.এস খতিয়ান নং- ১৪৭, ১৪৮, বিএস দাগ নং- ৭৭৫/৭৭৭/৭৭৮/৭৮৮ বাদীর নামজারী খতিয়ান নং- ৭১৯, জমির পরিমাণ ৩৫.০৪ শতক। বিতর্কিত ৭৭৭ দাগ এর হতে ০৬/০৭/২০০৪ ইং তারিখে খরিদকৃত চট্টগ্রাম জেলার সাব-রেজিষ্টার বিক্রয় কবলা নং ৫৯৬২ ও নামজারী মোকদ্দমা নং ৫৩৭৬/০৪ ইং তারিখে ৩০/০৭/২০০৮ ইং তারিখে হুকুমতে ৭১৯ নং খতিয়ান সৃজন ও সনসন সরকারী খাজনাদি পরিশোধক্রমে শান্তিপূর্ণ ফারুকুল ইসলামের ভোগদখলরত জায়গাটি এ কে এম আ: মতিন চৌধুরী, আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে আব্দুর রহমান, আব্দুল আজিজ, মো: পলাশসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০/২৫ জন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ফারুকুল ইসলামের জায়গাটি দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। দখলকারদের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনার সিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট বায়েজিদ থানায় অভিযোগ দায়ের রয়েছে।
দখলকারীরা একটি সঙ্গবদ্ধ জালজালিয়াতি চক্র বলে জানাযায়। এই জালিয়াত চক্র নাছিরাবাদ এলাকায় অসংখ্য জায়গা জালিয়াত করে সাধারণ নীরহ মানুষকে পথে নামিয়ে দিয়েছে। এই মতিন ও ওহাব গংদের বিরুদ্ধে দৈনিক সংবাদ পত্রসহ টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এর মধ্যে ফারুকুল ইসলামের জায়গার উপর ৭৭৭ নং দাগের বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন একটি পাহাড়কে রাতের অন্ধকারে কর্তন করা হচ্ছে। ঐ কর্তকৃত পাহাড়ের মাটি দিয়ে ফারুকুল ইসলামের মালিকানাধীন জায়গা ভরাট পূর্বক মতিন ওহাবগণরা দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। ফারুকুল ইসলাম তার জায়গার উপর অবৈধভাবে পাহাড়কাটা মাটি না রাখার জন্য বলেলও তারা জোরপূর্বক মাটি ভরাট করতে থাকে। মাটি ভরাট ও অবৈধ পাহাড় কাটার বিষয়ে ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনাই মর্মে ফারুকুল ইসলাম জানান।
ভূমিদস্যুরা করোনা রোগের লকডাউনে সুযোগ নিয়ে প্রতিরাতেই পাহাড় কেটে বিদ্যুৎ অফিস ও ফারুকুল ইসলামের জায়গায় অবৈধ পাহাড় কাটার মাটি জমা করতে থাকে। মাটি ভরাটের পাশাপাশি জায়গা দখলে জন্য অবৈধভাবে সাইনবোর্ড টেঙ্গে দেওয়া ফুসের ঘর নির্মানের কাজ চালাচ্ছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বায়েজিদ থানাকে ফারুকুল ইসলাম লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মতিনগংদের বিরুদ্ধে ভূমিদখলের অভিযোগসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে মেয়র আজম নাছির উদ্দিনকে ফারুকুল ইসলাম অবগত করেছেন। ফারুকুল ইসলাম আসঙ্খা করেন যে, করোনা ও ঈদের লাগাতার বন্ধের সুযোগে সন্ত্রাসীদিয়ে আমার জায়গা পুরোপুরি দখল করে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ পাহাড় কাটা ফারুকুল ইসলামের জায়গা দখলসহ সরজমিনে রিপোর্ট করার জন্য একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলেও দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিদর্শন করেছে। ফারুকুল ইসলামের জায়গার বিষয়ে জালজালিয়াতি দলিল সৃষ্টিকারী ভূমিদস্যুদের মুখোশ উন্মচন করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।