
মুরাদ হোসেন বিপ্লব: বছরের পর বছর ধরে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী বাজারের রাস্তার বেহাল দশা। যে রাস্তাটি হচ্ছে পাহাড়তলী বাজারে প্রবেশ করার মূল ফটক। বাজারের ভিতরের রাস্তাটির প্রায় দুই কিলোমিটার। এই দুই কিলোমিটার সড়কে প্রায় সবটুকু রাস্তাই বর্তমানে খানা খন্দে ভরা। মেরামতবিহীন রাস্তাটি বৃষ্টির সময় বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তাতে এ পথে চলাচলে অনেক অসুবিধা দেখা দেয় বাজার করতে আসা পথচারী ও ক্রেতাদের। অথচ এ বাজারটি চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার হিসেবে সুপরিচিত। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের পরেই অবস্থান এ বাজারটির। কিন্তু সঠিক তত্ত্বাবধান এর অভাবে আজ মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে সড়কটি। উক্ত বাজারটি পাহাড়তলী থানা অধীনস্থ।
এলাকার জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারটি কোন প্রকার উন্নয়ন সদৃশ্য করতে সক্ষম হননি। এলাকাটি ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের আয়ত্তাধীন। উক্ত ওয়াডের্র কাউন্সিলর দায়িত্বে রয়েছেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাবের আহমেদ সওদাগর। যিনি আবার পাহাড়তলী বাজার কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন দীর্ঘদিন। তারপরও কেন উক্ত বাজার সড়কের পূর্ণ সংস্কার করা হচ্ছে না এটা নিয়ে ও প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিন যাবৎ খানা খন্দের জন্য বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি একেবারে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতাদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। পানি আর কাদা মিশ্রিত পথ যেন কালের সাক্ষী হিসেবে থেকে যায় বাজার করতে আসা পথচারী ও ক্রেতাদের কাছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি রাস্তা ভাঙ্গার কারণে পরিবহন যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাঝে মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও ঘটতে দেখা যায়। বর্ষার এই মৌসুমে অনেক ক্রেতা রাস্তার এ ধরনের সমস্যার কারণে বাজারে আসে না। এতে করে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। ক্রেতাদের মধ্যেও এই ব্যাপার নিয়ে রয়েছে ভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া। একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের যদি মূল ফটকের রাস্তার এই অবস্থা হয় তাহলে এখানে বাজার করা অত্যন্ত কষ্টজনক। যেহেতু এটি নগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার তাই এই রাস্তার ও তার আশেপাশের যত রাস্তা রয়েছে এগুলো দ্রুত সংস্কার করা হলে স্বস্তি মিলবে বাজার করতে আসা ক্রেতা সাধারণের।
উক্ত বিষয়টিকে ক্ষুদ্র করে না দেখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিতে এনে দ্রুত সংস্কারের দাবি বাজারের ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের।