
আব্দুল্লাহ আল-মাহফুজ : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মাহাজনপুর এলাকার গুদারচর বিলে তিন ক্ষুদ্র ঘের ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে পুলিশের সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোর রাতে গুদারচর বিলে এ ঘটনা ঘটে।
দাঁদপুর এলাকার ঘের ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, মহাজনপুর এলাকার গুদারচর বিলে আমার মাছের ঘের রয়েছে। রাতে ঘেরের মধ্যেই আমি ছিলাম। ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে একজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য আমার কাছে জানতে চাই রহমতের বাসা কোনটা। পরবর্তীতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই। অন্যপাশে অপর আরেকজন পুলিশ সদস্য ছিল। সে অন্য পাশ দিয়ে ঘেরের মধ্যে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে শুনেছি ঘের ব্যবসায়ী ওসমান ও কদমকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে, ক্ষুদ্র ঘের ব্যবসায়ী মহাজনপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ওসমান, রহমতের ছেলে শাহিন জানান, কোন কারণ ছাড়াই পুলিশের দুই এএসআই আমাদের আটক করে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিশের সোর্স বুধহাটা এলাকার রফিক। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী বল খেলার মাঠে নিয়ে পুলিশের সোর্স রফিক মারপিট করে দুই পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে। মারপিটের পর ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, ঘটনার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে শুনেছি পুলিশ দুইজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মহাজনপুর এলাকায় আদালতের ওয়ারেন্টে ইয়াছিন নামের এক আসামী গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে থেকে পুলিশের সোর্স দালাল রফিক গ্রেফতার ইয়াছিনকেও বেধড়ক মারপিট করে বলে জানিয়েছে ইয়াছিনের পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে বুধহাটা এলাকার পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী রফিক বলেন, আমি মোটর সাইকেল ভাড়াচালক। আমি এএসআই মিলন ও রিয়াজুলকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে কাউকে আটক করতে দেখিনি। মারপিট ও পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
রাতে অভিযানকারী আশাশুনি থানা পুলিশের এএসআই মিলন জানান, ডলার ব্যবসায়ী রহমত ঘেরের মধ্যে অবস্থান করছেন এমন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে রহমতের ছেলে শাহিনকে নিয়ে কয়েকটি ঘেরের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে রহমতকে পাওয়া যায়নি।
আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কাউকে আটক করিনি। তবে অভিযানকালে রহমতের ছেলে শাহিনকে নিয়ে বেশ কয়েকটি ঘেরের বাসায় অভিযান চালানোয় অনেকে হয়তো ভাবতে পারে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে আটকের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, মহাজনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।