
নাজমুল হোসেন: সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ৬৮৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৪০৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।২৮১ জনের রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে। সাতক্ষীরা জেলায় ২৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন আক্রান্ত জেলা থেকে আগত এবং বাকি ২ জন সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়েছেন, ২৭ জন নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং ১ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে আছেন। জেলায় মোট ২৮ জন আইসোলেসনে আছেন।
সাতক্ষীরাতে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৮ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ২৪ টি । সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৬৩১ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৪২০ টি । কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৫৪ টি । সাতক্ষীরাতে সরকারি ডাক্তারের সংখ্যা ১২৩ এবং বেসরকারি ডাক্তার ১৩০ জন ও সরকারি নার্সের সংখ্যা ২৮৯ জন এবং বেসরকারি নার্সের সংখ্যা ২৪০ জন্ । ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মোট ৬২৩৬ টি হতে ৪৫৯৪ টি বিতরণ করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য মোজাফফর গার্ডেন রিসোর্টকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে, ১ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে আগত ১১৩৫৩ জন মানুষকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে হোম কোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, দেশের করোনা আক্রান্ত ৭ টি জেলা থেকে ২০ হাজারের অধিক শ্রমজীবী লোক সাতক্ষীরা জেলায় আসেন। তাদের মধ্যে ১৫০০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং ৩৯৪২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।