
সাতনদী ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। রবিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম আবুল কালাম আজাদ।
এই প্রতারকের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামে। সে মোঃ ছহিল উদ্দীন বদ্দীর পুত্র।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবুল কালাম মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তিনি নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দিতেন। পুলিশে নিয়োগ ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে তিনি প্রায় বিশ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় প্রতারণার মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী।’
শারমিন আরও জানান, রবিবার রাতে সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পূর্ব বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে ডেমরা ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাইন উদ্দিন খান মিরপুরের শাহআলী থানার উত্তর বিশিল স্বর্ণালি টাওয়ারের পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রতারক আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।’
গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
এই প্রতারক ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষের সাথে দীর্ঘ দিন প্রতারনা করে আসছে। আবুল কালাম আজাদ সাতক্ষীরার চিহ্নিত শিবির ক্যাডার। ২০১৪ সাল থেকে সে আত্মগোপনে গিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। মাঝে মাঝে সে লুকিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করে।
প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে ইতিমধ্যে সে এলাকায় আলিশান বাড়ি সহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরেও তার জমি রয়েছে। ঢাকায় রয়েছে ফ্লাট। আবুল কালাম আজাদের বড় ভাই আব্দুস সালাম ও ছোট ভাই ইমন ইসলামও দীর্ঘ দিন বাড়ি ছাড়া। তারা সকলেই চিহ্নিত শিবির ক্যাডার। তারা তিন ভাই ডেসটিনি, জয়েন্ট, বিভিন্ন এম,এল,এম ও বীমা কোম্পানি খুলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়ায়। এই আবুল কালাম আজাদ নিজেকে বড় মাপের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ধনাঢ্য পরিবারের এক কন্যাকে বিয়ে করেছে বলেও জানা গেছে। আবুল কালাম সহ তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও এক ইউপি চেয়ারম্যানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল বলে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে।