নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলা ঝাউডাঙ্গা কাঁচাবাজারে শাকসবজির দাম খুবই চড়া। আশপাশের অন্যান্য কাঁচা বাজারের চেয়ে এ বাজারের পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। যে কারণে সাধারণ মানুষ ও ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এবাজারে নেই কোন বাজার মনিটারিং ও তদারকির কোন ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের আশপাশে কয়েকটি কাঁচাবাজার সরেজমিন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা ইব্রাহীম হোসেন জানান, আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের বাজার করে তিন বেলা খাওয়া খুব কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার সংসারে ৫ জন লোক। ২ টা ছেলে মেয়ে লেখা পড়া করে। প্রতিদিন যে বাজার খরচ, সেই খরচ মিটিয়ে সংসারে অন্য খরচ করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। এ কারনে পেঁপে বাজার করাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দু:খ করে বলেন, এ বছর ছেলে মেয়েদের ইলিশ মাছ খাওয়াতে পারলাম না। এ বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, ‘চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, রসুন (বড় সাইজের) ২২০-২৫০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা, গোল আলু ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তিনি জানান, কাঁচাবাজারে কিছু সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ কয়েকটি সবজির। কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে ২০০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা দাম বেড়ে ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারের ৩৫ টাকার কাকরোল খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মেটে আলু ১৪০ টাকা, ৩০-৩২ টাকার ঢ্যাঁড়শ ৪৫-৫০ টাকা, ৩৫ টাকার পটোল ৮০ টাকায় বিক্রি হয় খুচরা বাজারে। আরেক সবজি বিক্রেতা মনিরুল জানান, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা। আর ধনেপাতা কেজিপ্রতি বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া ঢ্যাঁড়শ, বেগুন, বাঁধা কপি, বরবটিসহ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। তবে তেল এবং ডাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। জসিম উদ্দীন নামে এক ব্যাবসায়ী জানান, ছুটির দিন সকালে তাজা সবজি, মাছ-মাংসের চাহিদা ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বেচাকেনা অন্যদিনের থেকে একটু বেশিই থাকে। তার দোকানে এলাকার তাজা সবজি বেশি বিক্রি হয়। ঝাউডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলাম জানান, বাজারের উপর বাসিন্দারা আরাম-আয়েশ প্রিয়। তার মতে, এই বাজারে সবকিছু একসঙ্গে সহজে পাওয়া যায়। এ কারণে অন্যসব বাজারের চেয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ (১ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের) ৩৮০-৪০০ টাকা, একই রকম ওজনের সিলভার কার্প ও পাঙাশ ২২০-২৪০, কই ২৮০, তেলাপিয়া ২২০-২৭০, চিংড়ি ৭০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ এছাড়া পোলট্রি মুরগি কেজি প্রতি ২২০, সোনালি ২৯০-৩০০। গরুর মাংস ৭৫০ এবং খাসির মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির চড়া দামে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস
পূর্ববর্তী পোস্ট