নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি নিয়ম মানছেনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার জাহাঙ্গীর হোসেন। হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা ডিউটির কথা থাকলেও সে সময়ে বাইরে এম্বুলেন্সের ট্রিপ মেরে উপরি কামাই করে। বছরে বার কয়েক এম্বুলেন্স সার্ভিসিয়ের নামে লক্ষাধিক টাকা লোপাটও করে জাহাঙ্গীর।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষ রোগীদের আনা নেওয়া করার জন্য এম্বুলেন্স আছে। কিন্তু নেই ড্রাইভার। না ড্রাইভারও আছে। কিন্তু সে বাইরের এম্বুলেন্সের ট্রিপ দিতে ব্যস্ত থাকে দিনের বেশির ভাগ সময়। এ ছাড়াও শিক্ষানবীশ ড্রাইভার মানে হেলপার আশরাফুল ইসলামকে দিয়ে এম্বুলেন্স চালান। কোন জরুরী ফোন আসলে হাসপাতাল থেকে গাড়িটি বের করে কিছুদূরে আশরাফুলের কাছে এম্বুলেন্স পৌছে দেয় জাহাঙ্গীর। যা বে-আইনী। এদিকে ডিউটি না করেও গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল বেতন ৮৬,৮২০ টাকা, শিক্ষা ভাতা ৩,০০০ টাকা, বাড়ীভাড়া ভাতা ৩৯,০৬৬ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৯,০০০ টাকা, টিফিনভাতা ১,২০০ টাকা পেয়েছে। সারাদিন ডিউটি করার কথা থাকলেও নাম মাত্র হাজিরা দিয়ে ওভার টাইম ভাতা বাবদ ৮৬,৮২০ টাকা তুলেছে জাহাঙ্গীর। ডেন্টিং, পেইন্টিং ও ইঞ্জিনের কাজ করার নামে ৫৫,৮০০ টাকা উত্তোলন করেছে জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে হেলপার দিয়ে এম্বুলেন্স চালানোয় এম্বুলেন্সটি প্রায়ই বিকল হয়।
এ ছাড়াও রোগী বহন বাবদ প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা নেওয়া কথা থাকলে মূল বিলের সাথে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দেওয়া লাগে। ১০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করালেই বাড়তি ১,০০০ টাকা গুনতে হবে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের।
রোগী সেজে জাহাঙ্গীরের সাথে ফোনে কথা হলে সে জানায়, খুলনা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হবে ১,৫০০ টাকা। আর যদি ১০/৩০ মিনিট অপেক্ষা করা লাগে তাহরে আরও এক হাজার টাকা পরিশোধ করা লাগবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক এম্বুলেন্স ড্রাইভার জানান, যদি বাড়তি টাকায় রোগী যেতে রাজি না হয় তা হলে তিনি গাড়ি নষ্ট হয়েগেছে বলে ট্রিপ ছেড়ে দেন।
এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াতের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালায় হেলপার
পূর্ববর্তী পোস্ট