
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। গোপন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে যে, শ্যামনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর এসআই খবির (নিরস্ত্র) এই করোনাকালে অসহায় গরীব, দু:খি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করে আসছে। বিভিন্ন মামলার ফাইনাল দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পক্ষ-বিপক্ষের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা আদায় করে থাকেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকতেও আসামী গ্রেফতার না করে মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকেন। যে টাকা দিবে তদন্ত তার পক্ষে হবে।
তবে পুলিশের এমন ধরনের চাঁদাবাজীর প্রমাণে এখন প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মনিন্দ্র মন্ডলের পুত্র প্রকাশ। প্রকাশ বলেন, আমার একটি পারিবারিক মামলার তদন্তের ভার শ্যামনগর থানার সেকেন্ট অফিসার এসআই খবিরের উপর পড়ে । তিনি তদন্ত দিতে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি তাকে ২৫শ’ টাকা দিয়েছি কিন্ত সেই তদন্ত রির্পোট এখনো পর্যন্ত পাইনি। এই করোনাকালে আমি দীনমুজুরী হয়ে তিন তিনবার বিজ্ঞ আদালতে গেলেও তদন্ত রির্পোট পাইনি। আমাকে হয়রানী করে আসছে শ্যামনগর থানার সেকেন্ট অফিসার এসআই খবির।
জয়াখালী গ্রামের মোজাম্মেল গাজীর পুত্র শাহীন আলম বলেন, শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খবিরের একটি মিমাংসার জন্য ২ হাজার টাকা নেয়। পরে চাপে পড়ে ফেরত দেন।
তবে নাম প্রকাশে ৫/৬ জন ব্যক্তি বিভিন্ন অভিযোগ করে বলেন, আমরা সাধারন জনগন পুলিশের বিরুদ্ধে যেতে চাই না। পরে আবার গায়েবী মামলায় জড়িয়ে পড়বো।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খবির বলেন, আমি এমন ধরনের অভিযোগের বিষয় কিছু জানি না।
মহামরী করোনা ভাইরাসের কারনে সাধারণ মানুষের অভাব অনাটনে পুলিশের এমন ধরনের চাঁদাবাজী ও হয়রানীর বিষয়ে পুলিশ সুপারের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।