
রাকিব, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের নাছিরাবাদ আরফিন নগরের ভূমি দখল কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। পাহাড় কেটে পাহাড়ী মাটি দিয়ে পুকুরসহ জমি ভরাট করে সে জমিতে অবৈধ ঘর-বাড়ী গড়ে উঠছে দিনে দিনে। করোনার এই সংকটকালে চট্টগ্রামে বেড়ে চলেছে অবৈধ দখলদার ও প্রভাবশালী পাহাড়ী ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ত্ব। এই অবৈধ দখলদার ও পাহাড়ী ভূমিদস্যুদেরা বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিঙ্ক রোডেসহ চট্টগ্রামের আরফিন নগরে অবৈধভাবে পাহাড় কাটাসহ ঘর বাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছে। কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক স্থানে পাহাড় ও ঢিলা কেটে ন্যাড়া করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ও করোনার পেন্ডেমিকের আদলে চলছে পাহাড়কাটা এবং জমি ভরাটেসহ ভূয়া আমমোক্তার নামা, ভূয়া টিপসই এ সৃজিত বানোয়াট দলিল তৈরীর রম রমা ব্যবসা। চট্টগ্রামের নাছিরাবাদস্থ আরফিন নগরের ভূমি দখল ব্যবসা বিভিন্ন দলিল জাল জালিয়াতির মূল হোতা এক ভূমিদস্যু ও এক প্রভাবশালী সাবেক চেয়ারম্যান । অসংখ্য মামলা মোকাদ্দমা চললেও ধরা ছোয়ার বাইরে এই দুই ভূমি দস্যু। তাদের দাপটে এবং প্রভাবে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা যেমন চুপ করে আছে তেমনি নিরব রয়েছে প্রশাসন।
উক্ত এলাকার ভোক্তভুগি বাসিন্দা ফারুকুল ইসলাম বলেন, বিগত ২০০৪ সালের ৭ জুলাই সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী থেকে প্রায় ৩৫ শতক জায়গা খরিদ করি এবং পরবর্তীতে দাম কম হয়েছে বলে ২ লক্ষ টাকা বেশি আদায় করেন। কিছু দিন পর আমরা জায়গার দখল বুঝে পাই। পরবর্তীতে ২০১২ থেকে তারা উক্ত জমি ফেরত পাওয়া জন্য বিভিন্ন পায়তা চালাতে থাকে। সাথে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। এই বিষয়ে বিজ্ঞ সিএমএম মামলা চলেলও গত ৩০শে মার্চ আমার জালালাবাদ মৌজার ৭৭৭নং দাগের জায়গা রাতের অন্ধকারে আব্দুল ওহাব, চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তার দলবল নিয়ে দখলের কাজ শুরু করলে আমি বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওসিকে জানায়। এতেও কোন সুরাহার না হওয়ায় পরবর্তীতে ৯ই এপ্রিল উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানায়। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। গত ২৮ শে এপ্রিল সিএমপির পুলিশ কমিশনারকে এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করি। কিন্তু তাতেও এই দুই ভূমি দস্যু কোনভাবে না থামায় আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ জানায়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করলে কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে প্রশাসনও হার মেনে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তার জায়গার উপর অবৈধভাবে পাহাড়কাটা মাটি দিয়ে জোরপূর্বক মাটি ভরাট করা হচ্ছে। মাটি ভরাট ও অবৈধ পাহাড় কাটার বিষয়ে ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনাই মর্মে ফারুকুল ইসলাম জানান। ভূমিদস্যুরা করোনা রোগের লকডাউনে সুযোগ নিয়ে প্রতিরাতেই পাহাড় কেটে বিদ্যুৎ অফিস ও ফারুকুল ইসলামের জায়গায় অবৈধ পাহাড় কাটার মাটি জমা করে থাকে। মাটি ভরাটের পাশাপাশি জায়গা দখলে জন্য অবৈধভাবে সাইনবোর্ড টেঙ্গে সেখানে ফুসের ঘর নির্মান করা হয়েছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বায়েজিদ থানাকে ফারুকুল ইসলাম লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আব্দুল মতিনগংদের বিরুদ্ধে ভূমিদখলের অভিযোগসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে মেয়র আজম নাছির উদ্দিনকে ফারুকুল ইসলাম অবগত করেছেন। ফারুকুল ইসলাম আসঙ্খা করেন যে, করোনা ও ঈদের লাগাতার বন্ধের সুযোগে সন্ত্রাসীদিয়ে আমার জায়গা পুরোপুরি দখল করে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।