
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ৪১নং ওয়ার্ডে জলদস্যুর চাঁদাবাজি ও জেলেদের উপর নির্যাতন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলছে মাছধরার জাহাজে তেলচুরির ঘটনা। এ সকল নির্যাতন ও তেলচুরির গডফাদার চট্টগ্রামে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রিয়াজউদ্দিন বাজারের মনজু সওদাগর ওরফে কানা মনজুর প্রধান সহযোগি গাভী ইলিয়াছ। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি দখল, ধর্ষন, হত্যা, সাগরে ডাকাতি, তেলের চোরা কারবারি সহ এমন কোন অবৈধ ব্যবসা নেই যা গাভী ইলিয়াছ করে না। তাঁর জোরজুলুম ও অত্যাচারে অতিষ্ট পতেঙ্গার ৪১নং ওয়ার্ডের জেলেরা সহ এলাকার সাধারণ জনগণ। তাঁর ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। পুলিশে কিছু অসৎ কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সব সময়ই পাড় পেয়ে যায় গাভী ইলিয়াছ। মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি সহ গাভী ইলিয়াছের নামে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।
অভিনব পন্থায় বিভিন্নভাবে দরিদ্র অসহায় গরীব জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয়া ও চাঁদা না দিলে অস্ত্রসহ ডাকাত বাহিনী নিয়ে সাগরে জেলেদের উপর নির্মম নির্যাতন চালানোসহ মাছ ধরার জাল কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। এছাড়া তেলবাহী একটি জাহাজের মালিক এই মাদক স¤্রাট ইলিয়াছ। এছাড়া নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এই র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী গাভী ইলিয়াছ।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক ভোক্তভোগী সজিব দাস জানায়, আমার পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে কোন রকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। আমাদের ফিশিংবোট গুলো বাংলাদেশ সরকারের মৎস অধিদপ্তর এর অধিনে লাইসেন্স প্রাপ্ত। চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে আমরা উক্ত এলাকার জেলেরা জলদস্যু গডফাদার গাভী ইলিয়াস ও তানভীর চৌধুরীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছি প্রতিদিন। ডাকাতির অভিযোগে ইলিয়াছ কোস্টগার্ড এর কাছে আটক হয়। কিন্তু সে টাকার জোরে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার জেলেদের সাথে চাঁদাবাজি, অন্যায় অত্যাচার শুরু করে।
এই বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি, মাননীয় এমপি (১১ নং ওয়ার্ড), মেয়র মহোদয়, মৎস অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম, র্যাব ৭, উপ- পুলিম কমিশনার বন্দর জোনসহ দূর্নীতি দমন কমিশনারের নিকট দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।