চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগামে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের ৩ দিন ব্যাপী কর্মসূচীর ৩য় দিবসের অনুষ্ঠানমালা ২২ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিংস্থ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের কর্মসূচীতে ছিল ‘বিজয় বাংলা’ ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন, উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন, “স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীর বৈজয়ন্তীমালা রচনায় চাই সত্যিকারের দেশপ্রেম” শীর্ষক আলোচনা সভা, “স্বাধীনতার বিড়ম্বনা” নাটকের শ্রুতি পরিবেশনা প্রভৃতি। কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন- সন্দীপনার কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা যদু গোপাল বৈষ্ণব। সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাস্কর ডি.কে. দাশ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন এবং মহানগর শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজনীতিবিদ্ হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারুল ঈমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, ফটোসাংবাদিক দেব প্রসাদ দেবু, সংবাদকর্মী মুকুল সিকদার, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, সংগঠক উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রাজু, সাংবাদিক হারুন অর রশীদ, নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল, সংগঠক স্বপন কুমার বিশ্বাস, মোপলেস সভাপতি সজল দাশ, শিক্ষানবীশ ভাস্কর সজীব মিত্র, আইটি এক্সপার্ট মোঃ রাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক প্রকৌশলী অনিত কুমার নাথ, নাট্যকর্মী এমরান হোসেন মিঠু, চলচ্চিত্র অভিনেতা মোঃ জাবের হোসেন।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বৃষ্টি দাশ। বক্তারা বলেন-স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাঙালির ত্যাগের অমলিন ইতিহাস-সমৃদ্ধ সুবর্ণ কালের ডাক। যুদ্ধদিনের কত অবিস্মরনীয় ঘটনা আজ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষের স্মৃতিতে খেলা করে। সেই ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কীর্তিসৌধ বিনির্মাণের একমাত্র স্থপতি জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের এ সময়ে তার হাতকে শক্তিশালী করতে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুগান্তকারী বুনিয়াদ রচনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে এ দেশে বসবাস কারী পাকিস্তানের আদর্শের লালনকারী জারজ সন্তানরা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। জাতির পিতার পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাই প্রয়োজন-স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বৈজয়ন্তীমালা রচনায় চাই সত্যিকারের দেশপ্রেম।
শেষ পর্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে “স্বাধীনতার গীতিমালা পরিবেশন বরেন-সন্দীপনা সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীবৃন্দ যথাক্রমে শিল্পী এম.এ হাশেম, শিল্পী এম.এ হাশেম, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, শিল্পী মুসলিম আলী জনি, শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, বাসুদেব রুদ্র, নন্দীনি দেব, জ্যোতি শর্মা, মৈত্রী আচার্য্য, আবৃত্তি পরিবেশন করেন- কবি তরুনী সেন, তাহেরা খাতুন, বাচিক শিল্পী মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, প্রকৌশলী সঞ্চয় দাশ ও ইমরান ফারুকী ।