নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড়স্থ গ্রামীণ ব্যাংক গুনাকরকাটি শাখার বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক গ্রাহক গ্রামীণ ব্যাংকের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে আরও একটি অভিযোগ মেলে হাতে নাতে। জানাগেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক গুনাকরকাটি শাখায় সদস্য হিসেবে লেনদেন করছেন নওয়াপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী সরদারের স্ত্রী কহিনুর খাতুন। উক্ত শাখায় তার নামে একটি ফিক্স ডিপোজিট রয়েছে। ইতিপূর্বে কহিনুর খাতুন ৮০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নিয়ম মাওফিক তা পরিশোধও করেছেন। পরবর্তীতে একলাখ বিশ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য আবেদন করলে ব্যাংকের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলি নিয়ম অনুযায়ী ৯০হাজার টাকা ঋণ দিতে পারবে বলে জানিয়ে দেন। তবে একবারে নয়, দুইটি ঋণের মাধ্যমে তিনি একলাখ বিশ হাজার টাকা ঋণ দিতে পারবেন বলে সদস্যাকে জানান। সদস্যা কহিনুর খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের একবারে আবেদনকৃত টাকা দেওয়ার কথা বলে এখন তালবাহানা শুরু করেছেন তিনি। এ নিয়ে গর্ভবতী অবস্থায় একাধিকবার ব্যাংকে ধরনা দিতে হয়েছে কহিনুর খাতুনকে। তাছাড়া ব্যাংকে সেবা নিতে আসা কহিনুর সহ অধিকাংশ গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলি। অন্যান্য সদস্যরা এ প্রতিবেদককে বলেন, ইতিপূর্বে কখন এ শাখায় হয়রানির শিকার হতে হয়নি তাদেরকে। কিন্তু এ শাখায় সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলির যোগদানের পর থেকে ঋণের আবেদন খারিজ, আবেদনকৃত ঋণের টাকার থেকে কম ঋণ পাশ হওয়া সহ প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হয় তাদের। ইতিমধ্যে একাধিক গ্রাহক অসৌজন্যমূলক আচরণের ফলে এবং সঠিক সেবা না পেয়ে গ্রামীণ ব্যাংক গুনাকরকাটি শাখার সদস্য পদ বাতিল করে অন্য ব্যাংক বা ভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানে সদস্য হয়েছে বলে জানান সে-সকল সদস্যগন। উক্ত শাখার সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলির স্বেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ঋণ পরিশোধ শেষে আরও কয়েকজন সদস্য অন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানে সদস্য হবেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। এবিষয়ে জানাতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংক গুনাকরকাটি শাখা ব্যবস্থাপক ধর্মান্ত বিশ্বাস মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আমি বাড়ীতে আছি। অফিসে না গিয়ে, এবিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। এদিকে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিবন্ধন নিলেও, গ্রামীণ ব্যাংকের এধরণের কিছু অসাধু কর্মকর্তার জন্য সাধারণ মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের মত একটি সু-প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সদস্য বিহীন শাখা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে গ্রামীণ ব্যাংক গুনাকরকাটি শাখাটি। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সদস্যাবৃন্দ।