সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি: আশাশুনির বুধহাটা বাজারে একটি বেকারীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজীর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বুধহাটা বাজারের ভাই ভাই বেকারীতে এ ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোক পরিচয় দিয়ে সকাল ১১ টার দিকে মোটর সাইকেলে করে দু’ব্যক্তি ভাই ভাই বেকারীতে যান। বেকারী মালিক নাসির উদ্দীন খোকন ও বেকারীর সিসি টিভিতে ধারনকৃত ছবিতে পাওয়া তথ্যে জানাযায়, ভোক্তা অধিকার অফিস সাতক্ষীরায় কর্মরত (তাদের নাম) জিয়া ও আক্তারুল পরিচয় দিয়ে ডায়রি বের করে নানা কথা বলতে থাকেন। বেকারীর নামে তাদের অফিসে এবং ইউএনও অফিসে অভিযোগ আছে দাবী করে তারা নানান তথ্য জানতে চান। মালামাল উলট পালট করে হুলস্থল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। ইনিয়ে বিনিয়ে রক্ষা পেতে টাকার দাবীর ইঙ্গিত করতে থাকেন। বেকারী মালিকের সন্দেহ হলে গোপনে সে সাংবাদিকদের খবর দিয়ে স্থানীয় দু’জন সাংবাদিক সেখানে পৌঁছলে নিজেদেরকে তারা একইভাবে ভোক্তা অধিকার অফিসের লোক পরিচয় দিতে থাকেন। সাংবাদিকরা পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে মানবাধিকার সাংবাদিক এর কার্ড বের করে পরিস্থিতি বেকায়দার দিকে যাচ্ছে বুঝতে পেরে সুযোগ বুঝে সামনে থাকা মোটর সাইকেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এর আগেও তারা ভিন্ন পরিচয়ে এলাকার চাঁদাবাজী করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের পুরো নাম ঠিকানা উদ্ধার করা না গেলেও তাদের একজনের বাড়ি কলারোয়া ও অন্যজনের বাড়ি তালা থানায় বলে অসমর্থিত সূত্রে জানাগেছে। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যথাযথ ভাবে তদন্ত করলে ভুয়া ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা বা চাঁদাবাজদেরকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, তাদের অফিসে তিনি ছাড়া আর কেউ বর্তমানে নেই। কিছু ব্যক্তি মাঝে মধ্যে নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজী করে থাকে বলেও তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। যে কেউ ভোক্তা অধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজী করতে গেলে তাকে জানানোর জন্য এবং তাদেরকে আটক করে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করতে অনুরোধ জানান।
আশাশুনিতে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা
পূর্ববর্তী পোস্ট