
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর জমির মালিকদের হারি না দিয়ে ৪.৬৬ একর জমি জোরপূর্বক ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের সুলতানপুর এলাকার সুলতান গাজীর ছেলে মো: কামরুল ইসলাম বকুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৭ সালে আশাশুনি উপজেলার ধান্যহাটি মৌজায় খতিয়ান নং- ১৭৫, ৪৫৭, ২২৬, ৭৬৩, ১৬১, ৭৭৫, ৬১৯সহ অন্যান্য দাগ নং- ২৩৭৬, ২৩১২, ৭৬৬, ৭৪৭, ৮০৩, ৩৭০, ১২৫ সহ অন্যান্য দাগে মোট ৪.৬৬ একর জমি মাছ চাষ করার জন্য জমির মালিকদের কছে থেকে আমি ইজারা গ্রহণ করি। কিন্তু ইজারা গ্রহণের পর উক্ত ঘেরে গেলেই আশাশুনির দয়ামার ঘাট এলাকার মৃত হাকিম সরদারের ছেলে কৃষকলীগ নেতা সেলিম রেজা আমাকে বাধা প্রদান করে এবং খুন জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
কামরুল ইসলাম বকুল আরো বলেন, সম্পত্তির মালিকদের সাথে কোন প্রকার চুক্তি বা হারি না দিয়ে উক্ত সেলিম রেজা কৃষকলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জোরপূর্বক ওই জমি ভোগদখল করে যাচ্ছে। জমির রেকর্ডীয় মালিকরা তার কাছে হারির টাকা চাইতে গেলে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে তাদের দমিয়ে রাখে। সেলিম রেজার কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকা স্বত্বেও শুধু মাত্র দলীয় প্রভাবে এবং মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগ করে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্পত্তির অসহায় মালিকরা হারির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সেলিম রেজার হাত থেকে রক্ষা পেতে জমির মালিকরা বৈধভাবে আমাকে ডিড দিয়েছেন। কিন্তু সেলিম রেজা উক্ত সম্পত্তিতে আমাকেও যেতে দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমার প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। মিমাংসার জন্য তাকে কোথাও ডাকলেও সে হাজির হয় না। এমনকি এসপি অফিসে ডাকলেও সেলিম রেজা আসেননি। উপরোন্ত দাপট দেখিয়ে বিভিন্নভাবে জমির মালিকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। জমির মালিকরা অধিকাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় সেলিমের সামনে ভয়ে কেউ মুখতে সাহস দেখান না।
তিনি আশাশুনি উপজেলা কৃষকলীগ নেতা সেলিম রেজার হাত থেকে অসহায় জমির মালিকদের সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক তার শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।