
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনিতে দুর্গা পূজায় চাঁদা আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। এব্যাপারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে।
পিরোজপুর গ্রামের সুধাসিন্ধু মন্ডলের স্ত্রী নিয়তী রানী মন্ডল বাদী হয়েছে একই গ্রামের মনি গাজী, জাহিদুল ইসলাম, মোস্ত গাজী, ঠাকুর দাস সানা, জগন্নাথ সানা, সুভাষ শীল, তারক বিশ্বাস, প্রিতিশ ঢালী, ফটিকখালী গ্রামের গৌরঙ্গ সরদার, খালিয়া গ্রামের শ্রীবিন্দু মন্ডলকে অভিযুক্ত করে দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বিগত দুর্গাপূজার সময় পূজার চাঁদা না দেয়া ও বিরোধীতা করায় গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করা হয়। চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করে দেন। বিরোধী পক্ষ মিমাংসা না মেনে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত ও রাস্তাঘাটে পেলে মারধর করা সহ বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। গত ১৯ অক্টোবর বাদীর দেবর হারান মন্ডল, ভাইপো দেবাশীষ মন্ডল খাজরা বাজার হতে বাড়ী ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬.৩০ টার সময় পিরোজপুর কালি মন্দিরের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছানো মাত্রই লাঠিসোটা, লোহার রড, দা সহকারে ওৎপেতে থাকা আসামীরা তাদের পথরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে শরীরে রক্তজমাট বাধা বেদনাদায়ক নিলাফোলা জখম করে। জানতে পেরে বাদী ও বাদীর জা মল্লিকা মন্ডল ও জবা মন্ডল ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। পরনের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে বেআব্রু করতঃ শ্লীলতাহানী ঘটায়। গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেয়। গলায় শাড়ী কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তাদের ডাকচিৎকারে স্বাক্ষীরা সহ আশপাশের লোকজন ছুটিয়া আসলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। বাদী, মল্লিকা মন্ডল, জবা মন্ডল ও হারান মন্ডলকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ হতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।