
নিজস্ব প্রতিবেদক :সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নেতৃত্বে সদর হাসপাতালে হামলা ্ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা ব্যপক ভাঙচুর ও ডাক্তার-নার্সদের মারপিট করে বলে অভিযোগ উঠেছে । শনিবার সকাল ১০টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নেতৃত্ব দেয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক। আহতরা হলেন ডা. তানভীর, ব্রাদার ফরিদ হোসেন ও মাসুদ রানা, নার্স সোহানা পারভিন ও মর্জিনা খাতুন। ঘটনার পর আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যরা এবং সদর থানা থেকে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এ হামলার দায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহেল আহমেদ মানিককে বহিস্কার এর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত সেবিকা ফরিদা খাতুন ও সোহানা পারভিন জানান, সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের শাহিন (২৫) নামের এক যুবক মারপিটের কারনে শনিবার সকালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়। এরপরপরই ১নং ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তারা ফের জরুরী বিভাগে ফিরে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।এরপর তাদেরকে মারপিট করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী জানান, বেলা ১০ টার দিকে কিছ ুলোকজন হঠাৎ করেই অফিস স্টাফদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে । এরপর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত জরুরী বিভাগের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ভাঙচুর করে। এ সময় জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালনকারি ঢাকা থেকে আগত ডা. তানভির আহম্মেদ ও সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডা. মারুফ আক্তার, সেবিকা সোহানা পারভিন, সেবিকা ফরিদা খাতুন, স্বাস্থ্য কর্মী ফরিদ হোসেন ও মামুনকে পিটিয়ে জখম করে ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, হামলার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয় । পরে খবর পয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে । তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আহত নার্স ফরিদা খাতুন কারো নাম উল্লেখ না করে রোগী শাহিনের লাকজন হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল আহমেদ মানিক বলেন, তিনি রোগীর সাথে ছিলেন। কারা ভাংচুর করেছে তা তিনি জানেন না।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এঘটনায় ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা হয়েছে।