
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বাঁকাল দারুল হাদিস আমাদিয়া সালাফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় পুকুরের পানিতে ডুবে তাছরিপ হোসেন নামে ৭ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে । তবে এ ঘটনায় আনারুল নামে এক সহকারী শিক্ষকের দিকে অভিযোগের তীর স্থানীয়দের। মারা যাওয়া শিশু বাঁকাল সরদার পাড়া এলাকার ট্রাক চালক কুরমান সরদারে ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। সোমবার বেলা ২ টার দিকে মাদ্রাসার পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় এক ব্যাক্তি।
বাঁকাল এলাকার আলতাপ হোসেন সরদার, আলী হোসেন, রেজাউল ইসলাম নুর হোসেন সহ অনেকে জানান , তছরিপের বাবা একজন ট্রাক চালক আর মা গর্মেন্স কর্মী । তার কাজের সুবাদে ঢাকাতে থাকেন । রবিবার সন্ধ্যায় তছরিপের বাবা তাকে মাদ্রাসায় রেখে ঢাকাতে চলে যান । যাওয়ার সময় তার ছেলে সাঁতার জানে না বলে শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ করেন। সোমবার সকালে শিক্ষক আনারুল ইসলাম ছাত্রদের বেত নিয়ে তাড়া করলে কয়েকজন ছাত্র মাদ্রাসার পুকুরে ঝাঁপ দেয় । ওই সব ছাত্র পানি থেকে উঠতে পারলেও ডুবে যায় শিশু তাছরিপ । এরপর বেলা ২ টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি এক রোগির স্বজন পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে তাকে পানি থেকে তুলে আনে তাকে । পরবর্তীতে মাদ্রাসার পহারাদার শিমুল হোসেনকে দিয়ে শিশুটিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘেষনা করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেত ব্যাবহার করার নিয়ম না থাকলেও শিক্ষক আনারুল ইসলাম বেত দিয়ে প্রায় ছাত্রদের মারতেন । এজন্য ছাত্ররা তার ভয়ে ভীত ছিল সবসময় । গতকাল সোমবার সকালে ছাত্রদের তাড়া করলে তার ভয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয় । এরপরে শিশু তছরিপ মারা গেল । এ দায় ওই শিক্ষক কোন প্রকার এড়াতে পারেনা । পরে শিশুটির পরিবারকে কোন প্রকার আর্থিক সুভিদা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে ফেলেছেন । আমরা এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে ঘটনার পরে সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসায় তথ্য সংগ্রহে যান সাতনদী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ ওই ইমান আলী । ্ওই সময়ে তারা মাদ্রসার সুপার সোহেল বিন মাদানীর সাথে কথা বলতে লাগলে তিনি ঘটনার বর্ননা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক আনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সেলিনা পারভীন পেয়ারা ছাত্রদের উসকে দিলে তারা তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। এরপর জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।