নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনিতে কৃষানীদের মাঝে লবনাক্ততা ও খরা সহনশীল ধানবীজ, সবজি-বীজ ও জৈব সার বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) লিডার্সের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর জন্য জনগণের সহনশীলতায় রূপান্তর প্রকল্প” এর প্রকল্প অফিসে প্রকল্প উপকারভোগী কৃষানীদের মাঝে বোরো মৌসুমের লবনাক্ততা ও খরা সহনশীল ধানবীজ এবং রবি মৌসুমের সবজি-বীজ ও জৈব সার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক জনাব বলমালী দাসের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম এনামূল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইপিআরসি সংস্থার প্রকল্প মনিটরিং অফিসার জনাব মোঃ আকরাম হোসেন, প্রকল্পের টিম লিডার রনজিৎ কুমার মন্ডলসহ অন্যান্য কর্ম কর্তাবৃন্দ। এসময় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী কৃষাণীগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, তৃনমূল পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীদের কৃষিখাতে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা যথেষ্ট বেশী। জলবায়ু স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে ক্ষয় ক্ষতি কমানো সম্ভব। এই প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী কৃষাণীদের জলবায়ু স্মার্ট কৃষি চর্চায় উৎসাহিত করার জন্য বীজ ও জৈব সার বিতরন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমার এলাকা দূর্যোগ কবলিত এলাকা এখানে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা প্রয়োজন, পাশাপাশি কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য বাজারের বীজের উপর নির্ভরশীলতা কমানো প্রয়োজন। তিনি কৃষাণীদের উদ্দেশ্যে ধান এবং সবজি বীজের ক্ষেত্রে উচ্চফলনশীল বীজ থেকে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে ১১৪ জন কৃষকের মাঝে ৪৮৫ কেজি (ব্রিধান ৬৭) ধানবীজ এবং ৬০০ গ্রাম মিস্টিকুমড়া, ১৩৭৫ গ্রাম লালশাক, ৬০০ গ্রাম লাউ, ৫৫০ গ্রাম বীট, ১৩৭৫ গ্রাম বরবটি, ১৩৭৫ গ্রাম পালংশাক, ১৩৭৫ গ্রাম টকপালং এবং ১০২৬ কেজি জৈব সার বিতরণ করা হয়।
আশাশুনিতে কৃষানীদের মাঝে লবনাক্ততা ও খরা সহনশীল ধানবীজ, সবজি-বীজ ও জৈব সার বিতরণ
পূর্ববর্তী পোস্ট