জাতীয় ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার ঘরমুখো মানুষ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই কোনও যানজট। নির্বিঘ্নে সেতুর টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে দূরপাল্লার গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যানবাহন।
এদিকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় ৮০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২৯৮টি যান পারাপার হয়েছে সেতু দিয়ে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ টাকা।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সব মিলিয়ে টোল আদায় হয়েছে ৮০৬ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৯ টাকা।
হাসাড়া হাইওয়ের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস এম রাশেদ জানান, সকালে গাড়ির চাপ কিছুটা বাড়লেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে কোনও যানজট নেই। পদ্মা সেতু টোল প্লাজা এলাকায় যানজট খুব একটা লক্ষ করা যায়নি। অল্প সময়ে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে টোল বুথ ও পদ্মা টোল বুথ অতিক্রম করতে হচ্ছে যানবাহনকে। এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গাড়ির অতিরিক্ত গতি রোধে কাজ চলছে।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, পদ্মা সেতু হয়ে নির্বিঘ্নে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও কোথাও দুর্ভোগ বা বিড়ম্বনা নেই। ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়ায় রাজস্বও বাড়ছে।
তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ১৫টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্তে সাতটি ও জাজিরা প্রান্তে আটটি বুথ রয়েছে। ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য উভয় পাড়েই দুটি করে চারটি লেন রয়েছে। সার্ভিস লেনে বাইক চলাচল করায় এবং টোল আদায়ে অতিরিক্ত টোল বুথ করায় অন্য যান চলাচলে কোনও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে না।