জাতীয় ডেস্ক:
অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গুলশান-২-এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
দুই দিনব্যাপী মেলাটি ডিএনসিসি উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
মেয়র আতিক বলেন, ‘গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা ম্যানহাটান শহরের মতোই অভিজাত ও ব্যয়বহুল। কিন্তু এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে এসব এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও সুয়ারেজের ব্লাক ওয়াটারের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক।
মেয়র বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুন্দর শহর, একটি দূষণমুক্ত শহর। আমরা চাই শহরের খালগুলো হবে দূষণমুক্ত। এ জন্য আমাদের সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাসা-বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন (স্ট্রম ড্রেন) অথবা খালে দেওয়া যাবে না। পয়োবর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালকে দূষণ করছে। সেটি আর হতে দেওয়া যাবে না।’
নিরাপদ ও টেকসই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক ও উন্নত পরিষেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় আধুনিক পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রায় ২৫টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
আধুনিক পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এই মেলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমাধান ও পণ্যের ডেমোনেস্ট্রেশন, কস্ট, অপারেশন এবং ম্যানেজমেন্ট। ভবন-ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করার জন্য ভবনের মালিকদের অনুরোধ জানানো হয় এই স্যানিটেশন ফেয়ার থেকে।
পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (অনসাইট স্যানিটেশন) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ভবন, ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এই আয়োজনের মাধ্যমে। পাশাপাশি নিরাপদে অনসাইট স্যানিটেশনের জন্য সঠিক, উপযুক্ত সেভ স্যানিটেশন টেকনোলজি ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে এই স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ারে।
স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় নিরাপদ ও টেকসই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মো. সেলিম রেজা, ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যানে ভ্যান লিউয়েন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ইউনিসেফ, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান।