
জাতীয় ডেস্ক:
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বিমানের পাইলট নিয়োগ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৭৭ এর ক্যাপ্টেন ও ফার্স্ট অফিসারের পদ শূন্য থাকায় ৮ জন ক্যাপ্টেন ও ৬ জন ফার্স্ট অফিসার চুক্তিভিত্তিক (৫ বছর) নিয়োগের জন্য ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে কোম্পানির বিদ্যমান নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করে ৮ জন ক্যাপ্টেন ও ৬ জন ফার্স্ট অফিসারকে শর্ত সাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত পাইলটরা নির্ধারিত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলে প্রথম ফ্লাইট থেকে নির্ধারিত হারে বেতন ভাতা প্রাপ্য হবেন। এরই মধ্যে চারজন ক্যাপ্টেন ও একজন ফার্স্ট অফিসার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে ফ্লাইট পরিচালনা করছেন।
বাকি পাইলটদের মধ্যে একজন পদত্যাগ করেছেন, একজন কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। ছয়জন প্রশিক্ষণরত আছেন। অবশিষ্ট একজনের সার্টিফিকেট যথাযথ না হওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। কেউ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে অপারগ হলে কিংবা অন্য কোনো ধরনের অসংগতি পাওয়া গেলে তাদের প্রাথমিক চুক্তি বাতিলসহ কোম্পানির নিয়মানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তাদের কোনোরূপ বেতন-ভাতা বিমান থেকে প্রদান করা হচ্ছে না এবং নির্ধারিত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে না পারলে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অযোগ্য পাইলটদের প্রচুর বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।