
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের তিন দফা হামলা, ভাংচুর ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পর বাদীর বাড়িতে অগ্নিকান্ড ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামে।
আরার গ্রামের তকব্বার সানার ছেলে আবু তালেব বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে জানাগেছে, প্রতিবেশী তফিল উদ্দিন সানার ছেলে কাজল মালী দিং পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতি করে আসছেন। ঘটনার দিন সকাল ৮.৩০ টার দিকে তারা বাদীর পুত্র আছাফুরকে মক্কার পুকুর সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে বিবাদীরা গালিগালাজ ও মারপিট করে। খবর পেয়ে বাদী এগিয়ে গেলে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিটে যায়। কিন্তু তারা বাড়িতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। উভয় পক্ষকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসার চেষ্টা করা হলেও বিবাদীরা উপস্থিত হননি। বরং রাত্র ৮.৩০ টার দিকে লোহার রড, হাতুড়ি, পাইপ, সাবল নিয়ে বাদীর পুত্রের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম, হত্যার চেষ্টা ও মূল্যবান মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর বসতবাড়িতে ঢুকে আবার ভাংচুর ও বাদীর স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে মারপিট, শ্লীলতাহানী ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত বাদীর ছেলেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে কাজল মালী, আজিজুল, শান্টু, ডন, শান্ত, হৃদয়সহ ৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ দিয়ে বাদীপক্ষ বাড়িতে ফিরতে না পারায় শিশু পুত্র সাব্বির (১৪) ফুফুর সাথে রাতে ঘুমায়। রাত্র অনুমান ৩টার দিকে তাদের (বাদীর) ঘরে আগুন লাগানো হলে চিৎকারে পাশের লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও আগুনে ঘরের মালামাল ও আসবাব পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।