
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনি উপজেলায় এগারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়নের অলিগলি। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রæতি। মিছিল-মিটিং, পথসভা, উঠান বৈঠকে গণসংযোগ চলছে। ইউনিয়নের হাট-বাজার, চা স্টলে চলছে নির্বাচনি আলাপ-আলোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও রাত-দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। সবার আশা ভোট যুদ্ধে তারই জিত হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রার্থীকে নিরাশ করছেন না। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করছেন। সরজমিনে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা অটোরিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানে মাইক বেঁধে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নারী প্রার্থীদের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন স্বামী ও সন্তানরাও। তেমনি পুরুষ প্রার্থীদের পক্ষে স্ত্রী, সন্তানরাও বসে নেই। শান্ত নামে এক ভোটার জানান, ভোট আসলে প্রার্থীদের আনাগোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রæতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে সেই মোতাবেক কাজ করে না বরং নির্বাচনের পর সব ভুলে যায় প্রার্থীরা। ভোটার বৃদ্ধা আনু বেগম বলেন, ‘অনেক প্রতিশ্রæতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন কিন্তু ইউনিয়নের দৃশ্যমান উন্নয়ন হয় না। এবার আমরা সঠিক মানুষকেই ভোট দেবো।’ উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ আব্দুল বাছেত বলেন, ‘সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করে আদর্শ ইউনিয়নে পরিণত করা হবে আমার মূল লক্ষ্য।’ ২নং বুধহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক), ৬নং আশাশুনি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল আলমের (আনারস প্রতীক) সঙ্গে কথা বলে জানা যায, তারা দীর্ঘ দিন স্বচ্ছতার সঙ্গে এলাকার এতিম, বিধবা, বয়স্কসহ শ্রেণিপেশার মানুষদের বিপদে-আপদে সাধ্যমত পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা পুঁজি করে তারা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
উপজেলার ১ নং শোভনালী ও ২নং বুধহাটা,৬ নং আশাশুনি সদর ইউপি থেকে এবারই মনোনয়ন পাওয়া তিন প্রার্থী শম্বুজিৎ মন্ডল, মোঃ মাহবুবুল হক ডাবলু ও এস,এম হোসেনুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তারা নির্বাচিত হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউনিয়নে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।