
নাজমুল হোসেন : সদর উপজেলার ১৪নং ফিংড়ী ইউনিয়নে সরকারী করোনাকালীন সময়ে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের সহায়তার টাকা বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ভূয়া তালিকার অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম থাকলেও টাকা পাননি এমন অনেকের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। আবার যারা এসব টাকা পাওয়ার যোগ্য তারা না পেয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এমন ব্যক্তিও টাকা পাওয়ার অভিযোগ আছে। অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং ভূয়া তালিকার মাধ্যমে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
জানা যায়, ফয়জুল্যাপুর গ্রামের ১৫ জনের তালিকার ভেতরে ১০ জনই জানেনা যে তাদের তালিকায় নাম আছে কিন্তু পরিষদে গিয়ে তারা জানতে পারে তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কয়েকজন জানান, জামাল মোল্যার পুত্র কিসমত মোল্যা এলাকা থেকে আইডি কার্ড ও মোবাইল নাম্বার নিয়েছে অথচ পরিষদে যেতে বলিনি।
ফয়জুল্যাপুর গ্রামের রহিম বক্স মোল্যার পুত্র হবিবর মোল্যা, আনারুল মোল্যার পুত্র হাবিবুল্লা মোল্যা, আফতাব উদ্দীনের কন্যা রাবেয়া খাতুন, স্বরজিত মন্ডলের পুত্র শ্রীকান্ত মন্ডল, মৃত মানিক সরদারের পুত্র আইয়ূব আলি, আব্দুল সাত্তারের পুত্র ইয়াসিন আলি, জামাল মোল্যার পুত্র সাদের মোল্যা, আরশাদ আলীর পুত্র আজিবর রহমান জানান, তালিকায় আমাদের নাম আছে। অথচ আমরা কেউ এই টাকা পায়নি। এছাড়া তালিকায় আমাদের নামের পাশে যে পেশা, জাতীয় পরিচয় পত্র ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে সেটাও সঠিক না। ভূয়া তালিকার মাধ্যমে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এই টাকা গেলো কোথায়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, চলতি বছরে কয়েক দফায় সরকারী বরাদ্দের (জি,আর) টাকা করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে অসহায়, গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য পরিবার প্রতি ৫০০ টাকা সঠিক তালিকার মাধ্যমে বিতরণের নির্দেশনা দেয় দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়। এসব টাকা বিতরণে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ সদস্যরা ভূয়া তালিকার মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কিসমত মোল্লা এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরিক্ষত নারী সদস্য রেবেকা সুলতানা জানান, ১৫ জনের ভেতরে তালিকায় আমার দেয়া ৫ জনের নাম। যারা পাওয়ার যোগ্য আমি তাদেরকে দিয়েছি।
৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মধুসুদন মন্ডল মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, যারা প্রকৃত গরিব ভ্যান চালক ও ইজি বাইক চালক এবং সেলুন ও চায়ের দোকানদার তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টাকা পাবে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফিংড়ির সচেতন মহল।