
হাফিজুর রহমান / হাবিবুল্লাহ বাহার: দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রামনরোধে বিধি নিষেধের লকডাউন শুরুর প্রথম দিন গতকাল ১ জুলাই সকাল ৬টা হতে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদের ২১ দফা নির্দেশনা পালনের লক্ষ নিয়ে প্রথম দিন কঠোর নজরদারীর মধ্যে লকডাউন পালিত হয়েছে। সকাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন করোনা এক্সপার্ট টিম, পুলিশ ও প্রশাসনে সঙ্গে একযোগে মাঠে কাজ করে। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, মাছ, শাক-সবজি, রেস্তোরা, ঔষধের দোকান ছাড়া আর কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে দেয়নি। সকাল হতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে উপজেলার নাজিমগঞ্জ বাজার, ফুলতলা বাজার, মৌতলা বাজার, কালীগঞ্জ বাসটার্মিনাল, কৃষ্ণনগর, বাঁশতলা, রতনপুর সহ বিভিন্ন হাট বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রন করা হয়। ঐসময় বিধি নিষেধ অমান্যকারী ভ্রাম্যমান আদালতের ৭ টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা ব্যয় করা হয়। লকডাউনের সময় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি। এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম এবং থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সাতনদীকে জানান, মানুষকে সুস্থ্য রাখতে বিধি নিষেধ মেনে বিনা প্রয়োজনে ঘর হতে বাহির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যে আদেশ অমান্য করছে, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় এনে জেল জরিমানা দিচ্ছি। এপরেও কিছু কিছু মানুষ আইন অমান্য করে উদাসীনতায় ঘরের বাইরে এসে বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করছে। বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার অবস্থা খুবই খারাপ। নিজেদের বাঁচার তাগিদে এবং সুস্থ্য রাখার তাগিদে প্রত্যেকে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানান। কালীগঞ্জ হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, এপর্যন্ত কালীগঞ্জ হাসপাতালে মোট ৮১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৬ জন সনাক্ত হয়েছে। যেহেতু কালীগঞ্জ হাসপাতালে করোনার রুগী ভর্তি করলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে আমাদের হাসপাতালে মৃত্যুর কোনো পরিসংখ্যান নেই। সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ প্রশাসন উপজেলা জুড়ে টহল ও নজরদারী করলেও প্রথম দিন সেনাবাহিনীর কোনো উপস্থিতি পাওয়া যাইনি। তবে খেটে খাওয়া মানুষের নিকট সরকারি অনুদান বা প্রানোদনা পৌছে না দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র পতিক্রীয়া ও হতাশা বিরাজ করছে।