
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনিতে দীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, আশাশুনি সদরের হাড়িভাঙ্গা মৌজায় ডিএস ২১৯ খতিয়ানে মোট ৯.৬১ একর জমির মধ্যে সোয়া ৫ আনা অংশে ৩.২০ একর জমির মলিক ছিলেন নাটানা গ্রামের শ্রীধর মন্ডলের পুত্র লালচাঁদ মন্ডল ও যুদিষ্টি মন্ডল। তাদের মৃতান্তে এসএ খতিয়ানের মালিক হরেন লালচাঁদের পুত্র অমূল্য মন্ডল ও পরান মন্ডল নিঃসন্তান অবসস্থায় মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী কামিনী মন্ডল এবং যুদিষ্টির পুত্র সন্তান না থাকায় তার দৌহিত্র নিরাপদ মন্ডল। ডিএস রেকর্ডীয় মালিকগন বিক্রি বা অন্যত্র হস্তান্তর বাদে এসএ ৩১১ খতিয়ানের ৬২৯, ৬৫৭, ৭৮৯, ৮০১ ও ৯১৮ সহ ২৩ টি দাগে ভিন্ন অংশে নিরাপদ মন্ডল ওয়ারেস সূত্রে প্রাপ্ত হন ৬০ শতক জমি। বাকী জমি অমূল্য মন্ডল ও কামিনি মন্ডলের পাওনা থাকে। সে মোতাবেক বংশ পরমপরায় অমূল্যর পুত্র অশোক মন্ডল ও কামিনীদের ওয়ারেস অশোক দিং ও নিরাপদ’র ওয়ারেস তার পুত্র পল্টু, মন্টু, ঝন্টু ও শান্তি পূর্ব পুরুষদের আপোষ ভাগ বাটোয়ারা মতে উভয় পক্ষ দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু বিআরএস রেকর্ড চলাকালীন ভিপি গেজেটে লালচাঁদের নাম অন্তর্ভূক্ত থাকায় আইনের মার প্যাচে অশোক দিংদের নামে এসএ খতিয়ান মোতাকে রেকর্ড হয়নি। নিরাপদ’র খতিয়ানে তার পাওনা ৬০ শতকের সাথে অশোক দিংদের পাওনা অংশের জমিও ওই খতিয়ান ভূক্ত করে দেন। ফলে রেকর্ড সংশোধন পূর্বক সরকারি বিধি মোতাবেক অশোক দিংগনের নামে রেকর্ড ভূক্ত করাতে পরবর্তী আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছেন। এরই মধ্যে এলাকার কিছু স্বর্থেন্বেষী মহলের কুমন্ত্রনায় নিরাপদর ওয়ারেশ পল্টু দিংরা অশোক মন্ডল দিংদের দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর বংশ পরমপরায় ভোগ দখলীয় ৬৫৭ দাগে ২৪ শতকসহ বিভিন্ন দাগের জমি সম্প্রতি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছে। বিষয়টি আচ করতে পেরে অশোক মন্ডল সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটের আদালতে নিরাপদর পুত্র পল্টু দিংদের নামে পি-১১৩৫/২০ নং ১৪৫ ধারা জারি করিয়েছেন। সে মোতাবেক আশাশুনি থানা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে পল্টু দিংদের অশোক মন্ডলের ভোগ দখলীয় জমিতে প্রবেশ না করার জন্য লিখিত নোটিস করা হয়েছে। আদালতসহ পুলিশ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৭ ফেব্রুয়ারী ৬৫৭ দাগে অশোক মন্ডলসহ তার স্ত্রী মৎস্য ঘেরে কাজ করা কালিন পল্টু দিংরা তাদের পক্ষীয় লোকদের সাথে নিয়ে লাঠি সোটা সহকারে প্রবেশ করে অশোক ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। অশোক মৌখিকভাবে বাঁধা নিষেধ করলে তাদেরকে মাপিট করে আহত করে। অশোক মন্ডল ওই দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ সরজমিনে তদন্ত করে ৪৫৩/২১ নং জিডি এন্ট্রি করে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট, আমলী আদালতে পল্টু দিংদের অধর্তব্য অপরাধের তদন্ত ও পরবর্তী অনুমতি চেয়ে পত্র প্রেরন করেছেন বলে থানা সূত্রে জানাগেছে। এ খবরে পল্টু গংরা ফসে উঠে অশোক গংদের প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। বর্তমানে অশোক মন্ডল ও তার পরিবার পল্টু গংদের হুংকারে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে তার পরিবার জানান। এ ব্যপারে ভূক্তভোগী অশোক ও তার পরিবার প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।