আহাদুর রহমান: বৈশ্বিক মহামারী নোভেল করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসে কেঁপেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাও। কিন্তু করোনার প্রথম ওয়েভের সময় অপরাধ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে আবারও বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয়মাসে কম থাকলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে মামলার সংখ্যা তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৯৬৬টি মামলা হয়েছে। যার ৩০ শতাংশই মাদকের।
এ বছর প্রথম প্রান্তিকে নোভেল করোনার কারনে অপরাধ সীমিত ছিল। পরবর্তী ছয় মাসে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। বছর জুড়ে মাদক সংক্রান্ত মামলা ছিল ৩১৯টি। তবে মাদকের বিরুদ্ধে নেওয়া জেলা পুলিশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই মাদকের মামলা বেশি। এসময় বিপুল পরিমাণ মাদকও জব্দ হয়। তবে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা দায়ের হয়েছে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে। এ দু মাসে মাদক সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে প্রায় ৮০টি।
ধর্ষণের মামলা ছিল ৬টি যার মধ্যে চারটিই শিশু ধর্ষনের। যেগুলো চলতি বছরের ১৯’মার্চ, ২৪’মার্চ, ২০’অক্টোবর, ২১’অক্টোবর তারিখে ঘটে। এছাড়াও অপহরন খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও একাধিক মামলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর জিআরও অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর সাতক্ষীরা সদর থানায় মোট মামলা হয়েছে ৯৬৬টি। এর মধ্যে ৩১৯টি নিয়ে মাদকের মামলা শীর্ষ স্থানে আছে। এ ছাড়াও খুনের ঘটনায় ২টি, ধর্ষণের মামলা আছে ৬টি, জঙ্গীবাদের মামলা আছে ১টি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১টি, যৌতুক, নারীনির্যাতন, প্রতারণা, চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য মামলা আছে ৬২৭টি।
বিদায়ী বছরে সদরের ৩০ শতাংশ মামলা মাদকের
পূর্ববর্তী পোস্ট