
লিটন ঘোষ বাপি: কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও খালের প্রবল স্রোতে বিচ্ছিন্ন হতে পারে পারুলিয়া-সখিপুর দুই পারের সংযোগ। বিঘিœত হতে পারে পথচারী ও মালবাহী বিভিন্ন পরিবহনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহুল পরিচিত সাঁপমারা খালের স্রোতে ভাঙতে বসেছ পারুলিয়া-সখিপুর সংযোগ ব্রিজটি।
হুমকিতে অনেক মানুষ। কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সখিপুর বাজার সংলগ্ন পারুলিায়া ও সখিপুর সিমান্তবর্তী সাঁপমারা খালের উপর নির্মিত বাজার ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। উপজেলার জনবহুল এই ব্রিজের একপ্রান্তে উপজেলার সর্ববৃহৎ সখিপুর বাজার আর অপর প্রান্তে পারুলিয়া মৎস্য সেড। যে বাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার খুচরা ক্রেতার পাশাপাশি শত শত পাইকারী ক্রেতা-বিক্রেতা মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আসে এবং তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে। এসব মালামালের অধিককাংশই আশে এই ব্রিজ দিয়ে।
অপরদিকে পারুলিয়া মৎস্য সেডটিতেও এলাকার জোয়ারের বিল ও পাতনার বিলের বিভিন্ন ঘের ব্যবসায়ী মাছ বিক্রয় করতে আসে এই ব্রিজের উপর দিয়ে। সবমিলিয়ে এই ব্রিজটি দুই ইউনিয়নের মানুষের মিলনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়ে আছে। আর এই ব্রিজটি জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে এখন ভাঙতে বসেছে। যার ফলে এই এলাকার মানুষ এখন হুমকিতে।
উল্লেখ্য, গত অর্থ বছরে বর্তমান সরকারের খাল খনন কর্মসুচীর আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করে মরা খালটি পুন:জীবিত করা হয়েছিল খালটি। এতে কয়েক হাজার মৎস্য ঘেরসহ কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছিল। খালটি জীবন ফিরে পাওয়ায় এখন বৃদ্ধি পেয়েছে স্রোত। এ স্রোতে খালের উপর নির্মিত প্রায় প্রতিটি ব্রিজ কমবেশি হুমকির মুখে। এ সব ব্রিজগুলো পুনরায় নির্মান করা প্রয়োজন বলে মনে করে এলাকাবাসী।
তাই সখিপুর বাজার ব্রিজ সহ অন্যান্য ব্রিজগুলোর সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সচেতন মহল।