
ম্যারাথন বৈঠকের পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারল না আইসিসি। চলতি বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তম সংস্করণের সপ্তম আসর। সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসির বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এটাই ছিল মুখ্য বিষয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী ১০ই জুন। আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন মুখ আসছে। সে সিদ্ধান্তও আসবে ১০ই জুনের সভায়।
টেলিকনফারেন্সে হওয়া সে বৈঠকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কমই। সেখানে আলোচিত ইস্যু হয়ে ওঠে, কেন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে আইসিসির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বোর্ডের কী আলোচনা হচ্ছে সেই খবর। তাই আইসিসি ঠিক করেছে, আগে তদন্ত করে দেখা হবে কিভাবে ভিতরকার খবর বেরিয়ে পড়ছে।
তার পরে ক্রিকেট নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে। আইসিসি তাদের দেয়া বিবৃতিতে জানিয়েও দিয়েছে, আলোচনার গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না বলে সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার জন্য আইসিসির এথিক্স অফিসারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে আইসিসির ই-মেইল চালাচালির খবরও সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে পড়ে। নির্ধারিত সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না এবং কর মওকুফ না হলে ২০২১ সালে ভারতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে নেবে আইসিসি, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে। আইসিসি যদিও সেসব খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ভারত। ভারত সরকারের কাছ থেকে আইসিসির কর মওকুফের দায়িত্ব ছিল বিসিসিআইয়ের। কিন্তু সেটি বিসিসিআই না করায়, প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লোকসান হয় আইসিসির। আগামী বছরেও যদি ভারত সরকারের ট্যাক্স অব্যাহতি না পাওয়া যায়, তবে আইসিসির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮ হাজার কোটি টাকা।
করোনার জেরে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সূচিতে যেভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে তাতে যথাসময়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে রয়েছে ঘোর সংশয়। যা পরিস্থিতি তাতে বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতে পারে ২০২২ অবধি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও চাচ্ছে এবছরের বিশ্বকাপ পিছিয়ে সেটি আয়োজিত হোক ২০২১ অথবা ২০২২ সালে। বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির এই সময়ক্ষেপনে অসন্তুষ্ট সম্প্রচারস্বত্ব কিনে নেয়া স্টার স্পোর্টস। তাদের হাতে রয়েছে আইপিএলের টিভিস্বত্বও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে আইপিএলের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে চাইবে তারা। সূত্র: মানবজমিন