মো: কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ থানার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের মো: মোছলেম ড্রাইভার অপহরণ মামলার মূল আসামী সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। গত ৩১ শে আগষ্ট সোহেল কোর্ট সারেন্ডার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। বিগত ২১শে ফেব্রুয়ারী চন্দনাইশ থানার অন্তর্গত কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে পশ্চিম এলাহাবাদ ৩নং ওয়ার্ডের মো: এনুমিয়ার পুত্র মো: মোছলেম ড্রাইভার পাহাড়ী সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক অপহৃীত হয়। পরবর্তীতে পাহাড়ী সন্ত্রাসী বাহিনীর হোতা সোহেলসহ বেশ কয়েকজন পাহাড়ী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অপহৃীত মোছলেম এর ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ।
মামলা হওয়ার পর দৈনিক সাতনদীতে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে গত ১৭ই মে রাঙ্গুনিয়া পটিয়ার আংশিক সীমানার গভীর জঙ্গলে একটি অস্ত্র তৈরীরর কারখানা হতে অপহরনকারী সোহেলের গ্রুপের দুই অস্ত্র তৈরির কারিগর মো. রোকন ও মো. আবদুলকে বিশেষ অভিযানে আটক করে র্যাব-৭। তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় ওয়ানশুটারগান, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১০ রাউন্ড খালি খোসা এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব। অভিযানের সময় সন্ত্রাসী সোহেলকে আটক করা যায়নি।
সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রেক্ষিতে পটিয়া থানা পুলিশ রহিমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রহিমের স্বীকারুক্তি মোতাবেক সাইফুল গ্রেফতার হয় এরপর অপহরণের সাথে জড়িত অভিযুক্ত আরেক আসামী সাবেক পটিয়া ছাত্রলীগের নেতা জমিরকে গ্রেফতার করেন পটিয়া থানা পুলিশ। কিন্তু কয়েকজন আসামী গ্রেফতার হলেও পাহাড়ী এলাকা হতে অপহৃীত মোছলেমকে উদ্ধার করতে পুলিশ গড়মসি করাই মোছলেম এর ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে র্যাব ৭ এর বরাবরে এক আবেদন দায়ের করেন এবং তার ভাই মোছলেমকে উদ্ধার ও অপহরণকারিদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মুলত সোহেলের ইন্ধন দাতা, মোসলেমের এলাকার এবং হাইগাওয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী মানুষ। অপহরণকারিরা সঙ্গবদ্ধ পাহাড় সন্ত্রাসী এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত। ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবত পটিয়া চন্দনাইশ দোহাজারি রাঙ্গুনিয়া এবং বান্দরবান এলাকার পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অবস্থান পূর্বক অপহরণ, চাঁদাবাজী ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে বিশেষ করে পাহাড় হতে কাঠ সংগ্রহকারী ও কৃষি ব্যবসায়ী এবং পটিয়া চন্দনাইশের পেয়ারা ও লেবু বাগানের মালিকদের কাছ হতে প্রতিনিয়ত চাঁদা সংগ্রহসহ অস্ত্র ও দেশি তৈরির মদ সরবরাহ করে থাকেন। তাদের সাথে স্থানীয় একাধিক সন্ত্রাসী ও অস্ত্র এবং চোলাই মদ সংগ্রহকারীদের যোগসাজস রয়েছে বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে পটিয়ার থানার ওসি মো: বোরহান উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী সোহেল আমাদের হেফাজতে আছে। মোসলেম উদ্দিন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক স্বীকারুক্তিতে সোহেল অপহরনের বিষয়টি শিকার করেছে।