
আশরাফুল ইসলাম জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু ৫৫ হাজার টাকায় কেনার পর একটি বকনা বাছুরের জন্ম হয়। পরে ওই মা গরুটি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বাছুরটি পালন করতে থাকেন। ওই বাছুর বড় হয়ে এখন পর্যন্ত একটি ষাঁড় ও দুটি বকনা বাছুরের জন্ম দিয়েছে। তার একটি এই সাহেব বাবু। সাহেব বাবুর বয়স সাড়ে তিন বছর। ওজন ৩০ মণ। দাঁত ৬টি।
সাহেব বাবুকে নিজ সন্তানের মতোই বড় করেছেন তিনি। সাহেব বাবু নামটা তার মা রেখেছেন উল্লেখ করে আশরাফুল জানান, তার আরও একটা নাম আছে, ধলু।
তিনি বলেন, আদরের হওয়ায় তিনি কখনোই সাহেব বাবুকে কষ্টে রাখেননি। গত এক বছরেই গড়ে প্রতিদিন ৫-৭শ’ টাকার খাদ্য সাহেব বাবুকে খাওয়ানো হয়েছে। করোনায় পরিবার নিয়ে তিনি রয়েছেন বেকায়দায়। এ অবস্থায় সাহেব বাবুর খরচ চালানো মুশকিল। তাই বিক্রি করতে চান। নাটোরের একজন ও জেলার বাইরের এক বেপারি দাম ৬ লাখ বলেছেন। তিনি চেয়েছেন ১২ লাখ। তবে ১০ লাখের নিচে সাহেব বাবুকে বিক্রির ইচ্ছা তার নেই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. উজ্জ্বল কুমার কুন্ডু জানান, সাহেব বাবুকে অন্য জায়গায় নিতে পারবেন না খামারি। এর মধ্যে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। তাই তার চাওয়া অনুযায়ী দাম পাওয়া একটু কষ্টকর হবে। খামারিরা ভালো দাম পেলে পরবর্তীতে পশু পালনে আগ্রহী হবেন।