নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-খুলনা রুটে অবৈধভাবে যাত্রী বহনের অভিযোগে মামলা দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। গত ১৯ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলায় চুকনগর হাইওয়ে পুলিশ যাত্রীসহ মাইক্রোবাস (চট্ট মেট্রো- ছ-১১-১৫১৪) আটকিয়ে চালকের হাতে মামলার স্লিপ ধরিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত : সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে প্রতিদিন ৮/১০টি মাইক্রোবাস অবৈধভাবে সাতক্ষীরা – খুলনা রুটে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। সকাল ছয়টা থেকে প্রতি আধা ঘন্টা অন্তর সাতক্ষীরা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস গুলো ছেড়ে যায়। অপরদিকে, খুলনা শিববাড়ি মোড় থেকেও একই মাইক্রোবাস গুলো যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বিগত আওয়ামী সরকারের শাসন আমলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাস মালিক সমিতির শীর্ষ একাধিক নেতা এবং ট্রাফিক ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ড্রাইভার জাহাঙ্গীর (০১৭১২১৬৫৮৪৩) অবৈধভাবে ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে যাত্রি পরিবহন করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে। ফলে সাতক্ষীরা খুলনা রুটের বাস মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাস মালিক সমিতির একাধিক নেতা সাত নদীকে জানিয়েছেন, মাইক্রোবাসে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহনের কারণে তারা প্রতিনিয়ত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও ড্রাইভার জাহাঙ্গীর তার অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের ( চট্ট মেট্রো- ছ -১১-১৫১৪) মাইক্রোবাসটি খুলনা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ওই মাইক্রোবাসে যাত্রী ছিলেন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান। চুকনগর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য উল্লেখিত মাইক্রোবাসটিকে সিগন্যাল দেয়। এই সময় ওই মাইক্রোবাসের যাত্রী সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাইক্রোবাস থেকে নেমে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশ অফিসারের কাছে জানতে চান, কোন প্রকার রুট পারমিট ছাড়া ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা খুলনা রুটে চলাচল করতে পারবে কিনা? প্রতিউত্তরে হাইওয়ে পুলিশের একজন এসআই জানান, ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ অবৈধ। এক পর্যায়ে তিনি মাইক্রোবাসে অবৈধ যাত্রীহবনের অভিযোগে মামলা দিয়ে ড্রাইভারের হাতে কেস স্লিপ ধরিয়ে দেন। এ সময় ওই মাইক্রোবাসের চালক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে তার মাইক্রোবাসে আনতে অস্বীকৃতি জানায়। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্য হাবিবুর রহমানকে সাতক্ষীরাগামী চলমান একটি বিআরটিসি বাসে উঠিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত : ইতো পূর্বে ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের অবৈধ মাইক্রোবাসের বাণিজ্য নিয়ে সাতনদী পত্রিকায় একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। ওই সময় জাহাঙ্গীর সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে ভয় ভীতিকর হুমকি দিলে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। উক্ত ডায়েরীটিা তদন্ত করেন এস আই হাসান।
সাতক্ষীরা খুলনা রুটে অবৈধভাবে যাত্রী বহন, হাইওয়ে পুলিশের মামলা
পূর্ববর্তী পোস্ট