
ওমর ফারুক মুকুল: সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ মহাসড়কে আলিপুর কুলিয়া,পারুলিয়া, সখিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় হালকা বর্ষার কারনে মহাসড়কের রাস্তা কাদায় ভরপুর হয়ে গেছে। মেইন রোডের আশেপাশে ইটের ভাটা গুলোতে মাটি বহনের কারনে রাস্তায় মাটি পড়ায় সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জগামী মেইন সড়কের পাঁকা রাস্তাটি এখন কাদার রাস্তায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। হালকা বৃষ্টিতে পাকা রাস্তার উপর কাদার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তা দিয়ে ভ্যান-সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর-ডাম্পার, ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি উঠানোয় এই কাদার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিলেও প্রশাসনের নিরবতায় জনগনের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রৌদ্র হলে ধুলা বালি অন্যদিকে বর্ষা হলেই কাদা। সাধারন মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। বছরের পর বছর ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ীরা পাকা রাস্তাগুলো মাটি ফেলে কাচায় পরিণত করে রাখলেও তাদের কেশ স্পর্শ করার মতো কেও নেই বা তাদের প্রতি আইন প্রয়োগ হয় না। ব্যবসায়ীরা আবার বেপারোয়া হয়ে হয়েছে। রবিবার(৭ফেব্রুয়ারী) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হালকা বর্ষায় কাদার কারণে কুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় যানবহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০টির মত মোটরসাইকেল কাঁদায় পড়ে গেছে। মনে হচ্ছিলো ঝড়ের আম পড়ছে। কিন্তু কি আর করার সবাই নিরব। সাধারন মানুষ বলে কিছু করার নাই কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সাধ্য পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার ট্রাক্টরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ। এ রাস্তায় চলাচল করা মটরসাইকেল আরহি মেহেদী হাসান বলেন, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকনোয় ধুলা আর বর্ষায় কাদাময় হয়ে থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা পাকা রাস্তা। এতে বছরজুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। গত বছর এমন ঘটনা ঘটেছে তবুও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কেন? এরা প্রশাসনকে এরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাখে এমটি ধারনা সাধারন মানুষের। তাছাড়া ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে। অবৈধ ডাম্পার গাড়ীতে মাটি বহনের ফলে রাস্তার উপর মাটি পড়ে রাস্তাটি নেল কাঁদায় পরিণত হয়েছে ঢব ঢব করে পড়ছে মটরসাইকেল আরোহীরা। ধুলাবালি ও কাঁদায় জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। মহাসড়কটির বেহাল দশার কারনে দক্ষিনাঞ্চল শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের জেলার সদর হাসপাতাল, মেডিকেল হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হয় এ্যম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। উক্ত বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান এলাকাবাসী।