
নিজস্ব প্রতিবেদক : এনজিওর নামে প্রতারণা, ঘুষ আর দূনীতিতে অতিষ্ঠ হয়েছে সাধারণ মানুষ। এরই মাঝে নবলোক সমিতি নামের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছে। বর্তমানে ঋনকর্মী তাছলিমার কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়েছে ভুক্তভুগীরা। অভিযোগ আছে লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতানো, ঘুষ ছাড়া লোন না দেওয়া, আবার কিস্তিতে সামান্য দেরি হলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মামলা ও অপহরণের হুমকি— সবই ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে , নবলোকের কর্মীরা প্রথমে গ্রাহকদের লোন দেওয়ার আশ্বাস দেন। মানুষ আশা করে সদস্য ভর্তি হয় এবং ভর্তি বাবদ টাকা জমা দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর সেই টাকা ফেরত চাইলে বলা হয় এখন ফান্ড নেই, লোন হবে না বলে নানা অযুহাত দেখানো হয়।
যদিও বা কোনো গ্রাহক লোন পায়, সেখানেও চলে ঘুষের কারবার।
নাম না জানানোর শর্তে ভুক্তভেগীরা অভিযোগ করে বলেন, নবলোক সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ সংগঠনটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী প্রভাব ও প্রশাসনের নীরবতায় এসব অভিযোগ বারবার চাপা পড়ে যায়। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার লোনে ঘুষ লাগে আড়াই হাজার টাকা ১ লাখ টাকার লোনে ঘুষ লাগে ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ লোন পেতে হলে ‘কমিশন’ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এনজিওর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সব জেনেও মুখ বুজে আছেন।অনেকে প্রশ্ন তুলছেন
প্রশাসন কেন নবলোকের ভয়ঙ্কর প্রতারণা থামাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না? কাদের ছত্রছায়ায় তারা এতদিন ধরে মানুষকে ঠকাচ্ছে।প্রশাসনের নীরবতা ও মানুষের দাবিভুক্তভোগীরা একযোগে দাবি তুলেছেন, নবলোকের দুর্নীতিবাজ কর্মী তাছলিমাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার। একই সঙ্গে পুরো সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্ত করার।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রণব কুমার দাস নামে একজন বলেন, আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এক মাস ঘোরাল। শেষে জানালো, আমার লোন হবে না। এভাবে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে।
আরেক ভুক্তভোগী কৃষ্ণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমার কিস্তির টাকা দিতে সামান্য দেরি হলে তাছলিমা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, রাস্তায় ভ্যান আটকে অপমান করে। এমনকি স্বামী অ্যাডভোকেট পরিচয়ে মামলা করার ভয় দেখায় এবং অফিসে লোক নিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে তাছলিমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।