
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বদলীর পাঁচমাস পর ফিরে এসে ফের দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উপ -সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর মদদে অসাম্প্ত প্রকল্পের কাজ নিজেই ঠিকাদার সেজে অনিয়মের মাধ্যমে শুরু করেছেন তিনি। এছাড়া গভীর নলকুপ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল উত্তোলন সহ ঠিকাদারের কাছ ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার এ অপকর্ম দেখে জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আস্তা হারিয়েছে স্থানীয়রা জনসাধারন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের ঠিকাদাররা। এর গেল বছরে মো.শামছুর রহমান বকুল নামে এক স্থানীয় ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রাহক প্রতি১০হাজার ঘুষ দাবির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২৪ সালের ২৪অক্টোবর মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর আবু শাহিদের সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা থেকে কেশবপুর উপজেলায় বদলী করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন দূর্নীতিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মফিজুর রহমান কয়েক বছর আগে তালা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। ওই সময় রেন ওয়াটার হারবেষ্ট ও গভীর নলকুপ প্রকল্পে দূনীতি করে অর্থকোটি টাকা কামিয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে তার এই দূনীতি নিয়ে একাধিক বার পত্রপত্রিকায় সচিত প্রতিবেদন প্রকাশিক হলে তাকে সাতক্ষীরা সদরে বদলী করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সদর উপজেলায় এসেও জড়িয়ে পড়েন দূনীতির মহাযজ্ঞে। তার কাছে কাজ পেতে হলে গুনতে হত বিপুল অংকের অর্থ বলে অভিযোগ একাধিক ঠিকাদারের। দূর্নীতি এস টাকা গিয়ে যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি। কয়েক বছরে হাতে আলাদিনের চেরাগ পাওয়ায় হতভাগ হয়েছে তার এলাকার অনেকে।
চাঁদপুর জেলার শামিম ট্রেডার্সের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বছরের এপ্রিল মাসে রেনওয়াটার হারবেষ্ট প্রকল্পে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে সাড়ে ৬হাজার ট্যাংকি পান তিনি। ওই সময়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান ট্যাঙ্কি প্রতি ২হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে বসেন। দাবী মত টাকা না দেওয়ার কারনে তিন মাসের জন্য কাজ বন্ধ করে দেন উপ- প্রকৌশলী মফিজুর। এরপর বিভাগীয় কর্মকর্তা সহ স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে ম্যানেজ করে কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।এরপর তাকে প্রকল্পে নানা বাঁধার সমুখীন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
শামছুর রহমান বকুল নামে আরেক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, তিনি কয়েকটি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াস ব্লক প্রকল্পে কাজ পেয়েছিলেন।ওই সময় প্রকৌশলী মফিজুর রহমান পরিদর্শনে গিয়ে গ্রাহক প্রতি দশ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন বসেন।দাবী মত টাকা না দেওয়া তার প্রকল্পের বিলে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। উপায় না পেয়ে তিনি এই দূনীতি বাজ উপ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাকে কেশবপুর উপজেলা বদলী করেন।
নাম না জানানোর শর্তে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক ঠিকাদার জানান, মফিজুর রহমান কর্মস্থলে ফিরে আবার ঘুৃষ
বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মদতে সে নিয়মবহির্ভূত ঠিকাদার নিয়োগ। নিজেই প্রকল্পে ঠিকাদার হিসাবে কাজ করা এবং গভীর নলকূপ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে লিল্ত আছেন। তারই এই অপকর্মে প্রতিবাদ করলে সেই ঠিকাদার কে সকল ধরনের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মদতে সে নিয়মবহির্ভূত ঠিকাদার নিয়োগ। নিজেই প্রকল্পে ঠিকাদার হিসাবে কাজ করা এবং গভীর নলকূপ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে লিল্ত আছেন। তারই এই অপকর্মে প্রতিবাদ করলে সেই ঠিকাদার কে সকল ধরনের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তিনি আরো জানান, এর আগে মফিজুর সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় থাকাকালীন সময়ে ঠিকদারদের নানা ভাবে হয়রানি করতেন।ঘুষ ছাড়া কোন ভাবেই তিনি ফাইল পত্র ছাড় করতেন না। দাবী মত টাকা না দিলে পড়তে হত তার রোষানালে
অভিযোগের বিষয়ে নিয়ে জনস্বাস্থ্য উপ প্রকৌশলী মো.মফিজুর রহমানেরর সাথে কথা বললে তিনি মুঠোফোনে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।পরবর্তীতে তার অফিসে গিয়ে খোঁজ মেলেনি।