
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মৃত হরেন্দ্রনাথ সরদারের ছেলে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী দেবদাস কুমার সরদার এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ৬ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলনের পূর্ব নিধারিত দিন ছিল। আমি সম্মেলনের কয়েকদিন আগে কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আতাউর রহমান আমাকে ডেকে ভোটাভুটি না করে সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি ওই কমিটিতে কামালকাটি গ্রাম থেকে সুজিত কুমারকে সভাপতি এবং সোনাখালি গ্রাম থেকে আমাকে সাধারন সম্পাদক পদে থাকার অনুরোধ করলে আমি তার কথায় রাজি হই। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে হিন্দু মুসলিমসহ তিন শতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আমি স্থানীয় ঝাপা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্মেলন প্রাঙ্গনে হাজির হই।
দেবদাস কুমার সরদার অভিযোগ করে বলেন, সম্মেলন চলার এক পর্যায় ইউনিয়ন সভাপতি এস এম আতাউর রহমান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সকল সদস্যের মতামত উপেক্ষা করে শুধুমাত্র সভাপতি পদে সুজিত কুমারের নাম ঘোষনা করেন। সাধারন সম্পাদক পদে আমার নাম ঘোষনা না করে তিনি সম্মেলন শেষ করে চলে যান। এসময় বাইরে অপেক্ষমান নেতাকর্মীরা সভাপতি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে। এঘটনার পর সভাপতি ফের আলোচনার জন্য স্কুলের একটি কক্ষে আমাকে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর তিনি কোন আলোচনা ছাড়াই ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পূর্বের কমিটি বহাল রাখার ঘোষনা দিয়ে চলে যান। আমার ধারনা প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখার ঘোষনা দিয়েছেন।
তিনি (দেবদাস) ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পুনরায় সম্মেলনের মাধ্যমে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের দাবি জানান। একই সাথে সম্মেলন ছাড়া ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ড কমিটি গুলো যাতে গঠন করা না হয় সে জন্য উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।