জাতীয় ডেস্ক:
মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মিনহাজ বিশ্বাস (২০)। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ইমাদ পরিবহনের বাসটির সুপারভাইজার ছিলেন।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে তার স্বজনরা হাসপাতাল মর্গে গিয়ে মিনহাজের পরিচয় শনাক্ত করেন।
মিনহাজের চাচাতো ভাই সাব্বির হোসেন জানান, মিনহাজের বাবার নাম মিজান বিশ্বাস। বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুরান মানিকদা গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মিনহাজ ছিলেন সবার ছোট।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে থাকা নিহত অপর ব্যক্তির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর।
এ ঘটনায় নারীসহ সাতজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন: বাসযাত্রী ফয়সাল আহমেদ (৩৬), আ. হামিম (৫০), বদরুদ্দোজা (৩০), পঙ্কজ কান্তি ঘোষ (৪০), ঝুমা (৩৪), বুলবুল আহমেদ (৫০) ও এনামুল (৩৫) বৎসর।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, নয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে আনার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। দুজনকে মৃত অবস্থায়ই আনা হয়। ঢামেকে দুজনের মরদেহ রয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত ফয়সাল আহমেদের বড় ভাই শেখ তানভির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাড়ি খুলনা সদর উপজেলার মিনি সুপার ট্যাংক রোডে। খুলনায় এনসিসি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন ফয়সাল। খুলনা থেকে অফিসের কাজে বাসে সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি।’
সকালে মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যায়। শিবচরের কুতুবপুরে যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, সকালে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।