
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী শফিকুল ইসলাম(৪৫) এর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে সালমা খাতুন(৩৮) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২৬মে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বল্লী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। যৌতুক দিতে অপারগতা জানানোয় এ কান্ড ঘটায় শফিকুল। যৌতুক আদায়ের লোভে ৬টি বিয়েও করেছে সে।
সালমা বেগম জানান, ২০০৮ সালে শফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাই রবি খা ও কামরুল খা মারপিট করে সালমা খাতুনকে তার সন্তান মেহেদী হাসনকে সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সালমা বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। মেহেদী হাসান একটু বড় হয়ে সংসারের ঘানি ধরলে বাবা শফিকুল তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ। বাড়ি নিয়ে আসার পর শফিকুল তার তৃতীয় স্ত্রী সালমাকে বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। সেই সাথে ছেলে মেহেদীর আয় করা টাকার হিসেব দিতে বলে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে সালমা খাতুনকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে শফিকুল। এসময় লাঠিদিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শফিকুল। এছাড়াও আয়দিয়ে আঘাত করলে সালমার মুখে গভীর ক্ষত হয়। আহত সালমা মাটিতে পড়ে গেলে শফিকুলের দুই ভাই রবি খা ও কামরুল খা সালমাকে লাথি মারতে থাকে। স্থানীয়রা সালমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে যৌতুকের লোভে বিভিন্ন সময় ৬টি বিয়ে করেছেন শফিকুল ইসলাম। তবে কোন স্ত্রী তার কাছে থাকেনা। সবাইকে কোন না কোন অজুহাতে বের করে দিয়েছে। শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বল্লী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের সাকাতুল্লার ছেলে।
এ বিষয়ে শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ভাই সিরাজ খাঁ জানান, আমি বাড়িতে ছিলামনা। তবে লোকজনের মুখে শুনেছি ঘটনা সত্য। শফিকুলের ৬টি বিয়ের সত্যতাও নিশ্চিত করেন তিনি।