স্পোর্টস ডেস্ক:
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নিয়ে ক্রিকেটের রেকর্ড বইকে উলটপালট করে দিয়েছেন সাকিব। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টিম সাউদিকে সরিয়ে আবারো সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন। পাশাপাশি, আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশগুলোর মাঝে এক টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ এর বেশি রান এবং ৫ উইকেট নেয়া একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে দুই বার এই কীর্তি গড়লেন বিশ্ব সেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার।
একটি পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হতে গিয়ে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি অবসর নিয়ে নিলে সংবাদমাধ্যমের বিপদ। তাহলে যে তারা নিউজ পাবে না।’ কথাটা মজার ছলে বলা হলেও এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান বাস্তবতা। সাকিব মাঠে খেললে হন হেডলাইন আর খেলা না থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
একদিন আগে বিশ্রামে না থেকে হোটেল থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রামের রাস্তায় বিজ্ঞাপন করে বেড়ানো ক্রিকেটার পরদিন মাঠে নেমে হন নায়ক। ব্যাট হাতে না পারলে বল হাতে, সেখানেও ভাগ্য পক্ষে না আসলে অধিনায়কত্বের ক্ষুরধার কোন সিদ্ধান্তে তিনি কুপোকাত করেন প্রতিপক্ষকে। এ কারণেই তিনি বলতে পারেন, যে পারে সে সব পারে। আসলেই সব পারেন আমাদের সুপারম্যান সাকিব আল হাসান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন সাকিব। সেটার শুরু ব্যাট হাতে। যখন নেমেছিলেন দল তখন রীতিমতো উড়ছে। অলরাউন্ডারও তাই চেষ্টা করেছেন সে গতিটাকে দ্বিগুণ করতে। যতটা চেয়েছেন, ততটা হয়তো পারেন নি কিন্তু যা করেছেন তা-ই যথেষ্ট ছিল আইরিশ বধে। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৮ রান। তিন চারের সঙ্গে ছিলো ২ ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ১৫৮।
তবে ব্যাট হাতে করা পারফরম্যান্সকে ম্লান করে দেন সাকিব নিজেই। বল হাতে তার রূদ্র মুর্তির সামনে ছারখার হয়ে যায় সফরকারী দলের ব্যাটাররা। করেছেন ৪ ওভার। আর তাতেই পকেটে ঢুকিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। রান গুণেছেন মাত্র ২২। ডট দিয়েছেন ১৩টা।
তবে শেষ ওভারের শেষ বলটায় বাউন্ডারি না হজম করলে একটা রেকর্ডে নাম লেখাতে পারতেন সাকিব। যদিও, সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত অর্জন। সেরা বোলিং ফিগারের। তবে এরপরও হয়তো আক্ষেপ থাকবে না সাকিবের। কারণ, এই ৫ উইকেট যে তাকে আবারো উঠিয়ে দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে। টিম সাউদিকে সরিয়ে নিজের জায়গাটা পুনরুদ্ধার করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়।
একই সঙ্গে ক্রিকেটের একটা বিরল রেকর্ডে নিজের নাম দ্বিতীয়বার লেখালেন সাকিব। এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৫ এর বেশি রান এবং ৫ উইকেট যখন এই ধরাধামে কোন ক্রিকেটার একবারও পায়নি। অথচ সেটা দ্বিতীয়বার করে দেখালেন বাংলাদেশের সুপারম্যান। এর আগেওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান।